হরিহরপাড়াঃ আবারও নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করল হরিহরপাড়া প্রশাসন সহ কন্যাশ্রী যোদ্ধারা। সোমবার রাত্রে কন্যাশ্রী যোদ্ধারা খবর পায় চোয়া ঘোষপাড়া গ্রাম এলাকায় বাবলু ঘোষের নাবালিকা কন্যা মাম্পি ঘোষ (১৭) এর বিয়ে। বিয়ের দিন ধার্য্য হয় ১৩ই মাঘ। এই খবর পেয়ে হরিহরপাড়া ব্লক প্রশাসন, হরিহরপাড়া থানা এবং কন্যাশ্রী যোদ্ধারা সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন। নাবালিকা কন্যা হরিহরাপাড়া চোয়া স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। পাত্র সুব্রত ঘোষের বাড়ি মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থানার থানার মধুগাড়ী গ্রামে।
পাত্র মিষ্টি ব্যাবসায়ী তাই এমন পাত্র হাতছাড়া করতে চায় না ঘোষ পরিবার। আর এই নাবালিকার বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সোমবার রাত্রেই নাবালিকার বাড়িতে হাজির হন ব্লকের বিডিও পুর্নেন্দু সান্যাল, জয়েন্ট বিডিও উদয় কুমার পালিত, ওসি আব্দুস সালাম সহ অন্যান্য আধিকারিকগন, ব্লকের কন্যাশ্রী যোদ্ধা ও সিনির কর্মীরাও এদিন নাবালিকার বাড়িতে যান। বাড়িতে যাওয়ার পর দেখেন নাবালিকা পম্পা ঘোষ বাড়িতে নেই তাকে পাশের ব্লক নওদার জামালপুরে পিসির বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে পরিবারের লোকজন।
সেখান থেকেই বিয়ের বন্দোবস্ত করা হচ্ছিল বলে খবর। বিয়ের আগেই যৌতুক বাবদ আগাম এক লক্ষ টাকা নগদ ও তিন ভরি সোনার গহনা সহ সামগ্রিক দেওয়া হয়ে গিয়েছে পাত্রপক্ষকে। এমত অবস্থায় বিয়ে বন্ধ করে দিলেন প্রশাসন। নাবালিকার পরিবারকে বাল্যবিবাহের কুফল ও আইন সম্পর্কে বোঝানো হয়। নাবালিকার দাদু নিমাই ঘোষ প্রশাসনকে মুচলেকা দেন নাতনি সাবালিকা হলে তবেই নাতনির বিয়ে দেবেন। নাবালিকা যাতে স্কুলে পড়াশোনা করে তার সমস্ত দায়ভার নেন বিডিও পুর্নেন্দু স্যানাল। কিন্তু কোন মতেই বাল্যবিবাহ হতে দেওয়া যাবে না। পরে পরিবারের লোকজন সম্মতি দিলে বিয়ের ব্যাবস্থা বন্ধ করা হয়।