জাপানী সংস্থা জাইকার আর্থিক সহায়তায় এই কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। সিঙ্গুরে তাপসী মালিক কৃষক বাজারে দেশের প্রথম এই ধরনের সংরক্ষণ কেন্দ্র চালু হল। যেখানে কৃষক তার উৎপাদিত ফসল রাখতে পারবে। মাঝে মধ্যেই অভিযোগ ওঠে কৃষক বাজারে ফসল বিক্রি করতে গিয়ে অনেক সময় দাম পায় না। কম দামে ফসল বিক্রি করতে বাধ্য হয়। এই ধরনের সংরক্ষণ কেন্দ্র না থাকায় কৃষকরা বারবার ক্ষতির মুখেও পরতেন। এবার সেই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। সব্জি সংরক্ষন করে এখানে রাখতে পারবেন কৃষকরা।
এক সপ্তাহ রাখলেও সতেজ থাকবে সব্জি। পরে তা বাজারে বিক্রি করা যাবে। রাজ্য সরকারের সুফল বাংলার মাধ্যমেও কৃষক ফসল বিক্রি করতে পারবে। টেমপারেচার কন্ট্রোলড্ সোলার-পাওয়ারড্ ওয়ারহাউস বা সৌরবিদ্যুৎ চালিত সংরক্ষণ কেন্দ্রে ত্রিশ টন সব্জি এক সঙ্গে রাখা যাবে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সি(JICA)র সহযোগিতায় সারা রাজ্যে একশো এই ধরনের সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, সৌরবিদ্যুৎ চালিত হওয়ায় খরচ অনেক কম হবে তাই বছর বছর খরচ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও নেই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, শষ্য উৎপাদন যেমন কঠিন তাকে সংরক্ষণ করে বন্টন করা আরো কঠিন কাজ। তা ঠিক ঠাক না হওয়ায় ফসল নষ্ট হয়ে যায়। শুধু সব্জি সংরক্ষণই নয় আরো অনেক কার্যকারিতা রয়েছে এই ওয়ারহাউসের। জাইকার কাওয়াসাকি রিকুসো ট্রান্সপোর্টেশান কোম্পানীর প্রেসিডেন্ট কেইচি হিগুচি বলেন, সৌরবিদ্যুৎ চালিত হওয়ায় খরচ অনেক কম হবে। এর পরবর্তী ধাপে উত্তরবঙ্গে আরো দুটি ওয়ারহাউস গড়ে তোলা হবে।