পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুর -জেলা কংগ্রেস এর ডাকে কৃষিঋণ মকুব , ধান ও আলুর সহায়ক মূল্য ২৫৫০ ও ৮০০ টাকা করার দাবি তে আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করা হয়।দিল্লিতে দোস্তি, রাজ্যে কুস্তি। পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের বিরোধী মর্যাদা ধরে রাখতে প্রদেশ কংগ্রেস এর ডাকে সাইনবোর্ড দেখে এ পরিনত হওয়া দলকে চাঙ্গা করতে জেলায় জেলায় আইনঅমান্য কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের ডাকে আইন অমান্য কর্মসূচি গ্ৰহন করে।
অনেকদিন পর শীতঘুম কাটিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ এর সঞ্চার হয় এই ভেবে যে দল ময়দানে নেমেছে সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে আন্দোলনে। আইনঅমান্য কর্মসূচির এর আগে শহরের গান্ধী মূর্তি র সামনে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজির হয়েছিল কয়েক হাজার সমর্থক। কিন্তু আইন অমান্য কর্মসূচিতে অংশ গ্ৰহন করে মাত্র কয়েকশ সমর্থক।
তাই প্রশাসন এর তরফ থেকেও ছিলো উদাসীন ভাব, ছিলো না কঠোর নিরাপত্তা বলয়। জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মীদের উদ্দীপনা সৃষ্টি হলেও কর্মসূচি রুপান্তরিত হয় ম্যাড়মেড়ে। অনেকেই ভেবেছিলেন যে আজকে কংগ্রেস কর্মীরা প্রশাসনকে নাকাল করে ছাড়বে, কিন্তু আন্দোলন পরিনত হল ভষ্মে ঘী দেওয়ার মতো। তাই জেলা সভাপতিকে বলতে বাধ্য হন আইনঅমান্য কর্মসূচি বাদ দিয়ে জেলা শাসক এর অফিসের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ করতে।
আজকে কংগ্রেসের সুপার ফ্লপ কর্মসূচি দেখে জেলা সভাপতির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়ে ভবনেছে।কর্মসূচী। উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সম্পাদক শরৎ রাউৎ,প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকারী সভাপতি বিধায়ক নেপাল মাহাতবিধায়ক মোস্তাক আলম,বিধায়ক অসিত মিত্র,প্রদেশ মহিলা কংগ্রেস সভাপতি রাসু দত্তজেলা কংগ্রেসের সভাপতি সমীর রায়,যুব কংগ্রেসের সভাপতি মহঃ সাইফুল নেতৃত্বে যুব কংগ্রেসের কর্মীরা ত্রিস্তর ব্যারিকেড ভেঙে জেলাশাসকের অফিসের সামনে অবস্থান করেন এবং গ্রেপ্তার হন।