১৯শে জানুয়ারী ব্রীগেড সমাবেশ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনে চাপতে গিয়ে শিয়ালদাহ স্টেশনে ভীরের ধাক্কায় ট্রেনে চাপা পরে মৃত্যু হলো উত্তরদিনাজপুর জেলার ডালখোলা থানার পূর্ব মাটিয়ারী গ্রামের তৃনমুল কর্মী মহম্মদ সোলেমানের। তৃনমুল কর্মীর মৃত্যুতে গোটা গ্রাম জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, ১৯শে জানুয়ারী কলকাতায় ব্রীগেড সমাবেশে যোগ দেবার জন্য পুর্বমাটিয়ারী গ্রাম থেকে মহম্মদ সোলেমান সহ তিন জন তৃনমুল কর্মী ১৮ ই জানুয়ারী রাতে রওনা হন কলকাতার উদ্দেশ্য। সমাবেশ শেষ করে রাতে কলকাতার শিয়ালদাহ স্টেশন থেকে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেন ধরার জন্য প্লাটফর্মে যান। উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে ভীর থাকার জন্য সেই ট্রেনে না উঠে হাটেবাজারে এক্সপ্রেসে উঠতে গেলে লোকে ধাক্কায় হাটে বাজার এক্সপ্রেসে চাপা পরে যান।
এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় শিয়ালদহ স্টেশন জুড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে রেলপুলিশ। দীর্ঘক্ষন প্রচেষ্টায় প্লাটফর্মের কিছুটা অংশ কেটে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। এই মৃত্যুর খবর বাড়িতে ছড়িয়ে পরতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও দলীয় নেতৃত্বের মধ্যে। মৃতের ছেলে সাহিদুর রহমান জানিয়েছে, ব্রীগেড জনসভায় যোগ দিতে গিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনে চাপা পরে মৃত্যু হয়েছে বাবার।
দীর্ঘদিন ধরে বাবা তৃনমুল দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দলকে খুব ভালোবাসতেন বলেই ব্রীগেড সমাবেশ যোগ দিতে গিয়েই মৃত্যু হলো বাবার। এক মাত্র সংসারে উপার্জন করতেন বাবা। তার মৃত্যুতে তাদের সংসারে অনেকটায় ক্ষতি হলো। দল যাতে তাদের পরিবারের পাশে থাকে তারই আর্জি জানিয়েছেন।
অন্য দিকে তৃনমুলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মহম্মদ গিয়াসুদ্দিন জানান, ২০১১ সাল থেকেই মৃত সোলেমান একনিষ্ট কর্মী ছিলেন। বিভিন্ন মিটিং মিছিলে তিনি দলের হয়ে কাজ করতেন। তার মৃত্যুতে শোকস্তব্দ তাদের দল। তার মৃত্যুতে তাদের সংগঠনেরও অনেক ক্ষতি হলো। মৃতের পরিবারের পাশে তারা আছেন ও থাকবে আগামীদিনেও।