ঝাড়গ্রাম: শুষনি গ্রামের প্রায় 50 থেকে 60 টি খুদে পড়ুয়ারা স্কুল যেতে ভয় পাচ্ছে হাতি ও নেকড়ের ভয়ে | ঝাড়গ্রাম জেলার জাম্বনী ব্লকের চারদিক জঙ্গল বেষ্টিত শুষনি গ্রাম। গ্রামের মধ্যে কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই ,প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে গ্রাম থেকে কোনটা 3 কিলোমিটার তো কোনটা 4 কিলোমিটার তাই আবার জঙ্গল পেরিয়ে যেতে হয়। সে কেন্দুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় হোক আর কুম্ভরী জুনিয়ার হাইস্কুল হোক সমস্ত স্কুলই জঙ্গল পেরিয়ে যেতে হয়। এতদিন হাতির ভয় ছিল ঐ এলাকায় বছরের সব সময় হাতির ভয়ে ভয়ে জঙ্গল পেরিয়ে স্কুল যেত স্কুল পড়ুয়ারা।
গত একসপ্তাহ ধরে এবার আবার নতুন আতঙ্ক তাড়া করে বেরাচ্ছে স্কুল পড়ুয়াদের নেকড়ে বাঘের আতঙ্ক। গত সপ্তাহে শুষনী গ্রামের পাশে বাঁকশোল গ্রামে দুজনকে আক্রমন করেছিল নেকড়েবাঘ। ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি আছে দুই আদিবাসী যুবক। ঐ দিনের পর থেকে গ্রামের খুদে পড়ুয়ারা তারা জঙ্গলপেরিয়ে স্কুল যেতে ভয় পাচ্ছে। এমনকি অভিভাবকরা ভয় পাচ্ছে তাদের সন্তান দের স্কুলে পাঠাতে। অভিভাবক দের বক্তব্য আগে হাতি তো থাকতই সেই ভয়তো ছিল নতুন করে নেকড়ের বাঘ আক্রমন করাতে ভয় লাগছে সন্তান দের স্কুল পাঠাতে।
অভিভাবকরা সরকারের কাছে আবেদন করছে আমাদের গ্রামে কোন স্কুলনেয় ,আমরা গ্রামবাসীরা 2016 সালে জানিয়েছিলাম কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। এমনকি আমরা গ্রামবাসীরা স্কুল করার জন্য সরকার কে জায়গা দিতেও প্রস্তুত। কবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাই তার আশায় দিন গুনছে গ্রামবাসীরা, আর একই ধারে ভয়ও পাচ্ছে তাদের সন্তানরা স্কুল যাচ্ছে জঙ্গলদিয়ে যদি কোন অঘটন ঘটে যায়। গ্রামবাসীদের আবেদন যত তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান হয় ততই ভাল।