হাওড়া: চারিদিকে যখন ধর্মের নামে বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে। তার মাঝেও হাওড়া জেলার আমতায় সব ধর্মের মানুষকে এক সঙ্গে দেখা যায়। হাওড়া জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বহু লোকের উৎসব-এর মধ্যে একটি হলো ‘মাদার শাহের মেলা’ যা পরিচিত আমতা মাদ্রাসা মেলা নামে। প্রতিবছর মাঘ মাসের পয়লা তারিখে এই মেলা বসে। হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের মিলন তীর্থ এই মেলা। আমতার গুজারপুরের মাঠ থেকে ছোট পোল এবং তারপর জালালসী,পানপুর, দাদপুর যাওয়ার প্রারম্ভে মাঠ পর্যন্ত বিস্তৃত এই মেলা।
খোলা আকাশের নিচে মাদার শাহ বাবা শায়িত আছেন যুগ যুগান্তর থেকে। পয়লা মাঘের আগের দিন রাত থেকেই বরাবরের মতো এবারও মেলা বসেছে। মাঘের কনকনে ঠাণ্ডায় খোলা আকাশের নিচে বসেই অনেকে মানত করেন মনস্কামনা পূরণ করার জন্য। বহু দূর-দূরান্ত থেকে এলাকা থেকে যেমন জয়পুর, উদয়নারায়নপুর, বাগনান, মুন্সিরহাট সহ আমতা এলাকার বিভিন্ন গ্রামের লোক সমাগমে এবারও পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গন। কিংবদন্তি আছে যে, যত বড় বন্যাই হোক না কেন বাবার মাজারে নাকি জল উঠে না।
এখানকার চাটরা হরিশপুরের ফকির পাড়ার লোকেরাই এই শরীফের সেবাইত। পালা করে এই মাজারের কাজে সহযোগিতা করে থাকেন। এক সময় মেলায় আগের দিন ঢল বাদ্য সহকারে এই উৎসবের সূচনা হতো। বর্তমানে কাওয়ালি গানে মুখয়িত হয়ে ওঠে মেলা। এই মেলা আগের থেকে সংস্কারিত প্রয়াসে ধ্যান-ধারণার পরিবর্তন ঘটেছে। তবে এখনও সকল ধর্মের লোক সমাগম হয় এই মেলাতে। এবার ও হয়েছে।