উত্তর দিনাজপুর: রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরের প্রাণ কেন্দ্র মহেন্দ্রগঞ্জ নাটমন্দির প্রাঙ্গনে কালিয়াগঞ্জের ভ্রাম্যমান সাহিত্য সংস্থা প্রতীতির সাহিত্যের আসরে এবার প্রদর্শিত হল ফতেপুরের দ্বীপ জ্যোতি রুরাল ওয়েলফেয়ার সমিতির কলাকুশলীদের দ্বারা গনেশ রবিদাস নির্দেশিত খনপালা বৌ মোড়ঘরের লক্ষী। লোকসংস্কৃতির খন পালা শুরু হবার পূর্বে প্রখ্যাত বাউল শিল্পী মন্টু পোদ্দারের বাউল সঙ্গীত সবাইকেমুগ্ধ করে।এর পর বিশিষ্ট অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয়।বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে প্রধান অতিথি হিসাবেউপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ সঞ্জীব কুমার,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেনরায়গঞ্জ বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ তাপস পাল,অধ্যাপক বিপুল প্রামানিক,গবেষক প্রহ্লাদ মন্ডল ,বিশিষ্টসাংবাদিক রাহুল দেব ও মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দিরের সভাপতি সুনীল সরকার।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থারসভাপতি তপন কুমার চক্রবর্তী(প্রাক্তন শিক্ষক)।অনুষ্ঠানে হারিয়ে যাওয়া সাবেক পশ্চিম দিনাজপুর তথা বর্তমানউত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার লোকনাটক ও খন গান নিয়ে শ্রুতিমধুর আলোচনা করেন প্রতীতি সাহিত্যসংস্থার পত্রিকা সম্পাদক ডঃ কাঞ্চন কুমার দে।রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ তথা বিশিষ্ট অধ্যাপক ডঃ তাপসপাল উত্তর দিনাজপুর জেলার খনলোকনাটক ও খন গান সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন সমাজ সংস্কারে শুধুমনীষীদের হাত থাকে না। নারীদের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে আর সেই কথাই ঘরের লক্ষী বউ নাট্যপালার মাধ্যমেখন শিল্পীরা আজ দেখিয়ে দিতে পেরেছে যে নারীরা কি করে ঘরের লক্ষী বউ হতে পারে।বাংলার নারীরা আজকাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুরুষের সাথে সমাজের অনেক কঠিন কাজ করে চলেছে।বাংলার লোক নাট্যর মাধ্যমেনারীরা তাদের স্বাধীন মতামত তুলে ধরবার সাহস খুঁজে পেয়েছে এখানেই লোকনাটক খন এর শ্বার্থকতা।প্রতীতি রসভাপতি তপন কুমার চক্রবর্তী হারিয়ে যাওয়া জেলার খন নাটকের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।প্রতীতির সমগ্র অনুষ্ঠনটি অত্যন্ত সুচারু রূপে পরিচালনা করেন প্রতিতীর যুগ্ম সম্পাদক অরুন দাস।প্রদীপরায়,প্রিয়ব্রত রায়,ভানু শর্মা,রাজ কুমার জাজদিয়া সহ প্রতীতি সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।।ঘরের লক্ষী বৌখনপালা নাটকটি দেখবার জন্য মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দির প্রাঙ্গণ যেন মানুষে মানুষে মানুষে ছয়লাপ হয়ে পড়েছিল।