“মধুর টানে মৌমাছি” উত্তর দিনাজপুরের মধু পাড়ি দিচ্ছে বিদেশের মাটিতে

উত্তর দিনাজপুরঃ মৌ চাষ করে মৌ চাষি ভাইরা এখন শুধু বেকারত্বই ঘোচাচ্ছেন না,বাজারে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদিত মধু বিদেশেও রপ্তানি করছেন।তবে কোন কোন সময় উপয়ুক্ত দাম না মেলায় কিছুটা হতাশা হয়ে পরেন এই মৌ চাষীর। মূলত,মালদা মুর্শিদাবাদের থেকে এসে উত্তর দিনাজপুরের মৌ চাষ করে চলেছে এই মৌ চাষীর। বাক্স নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তাবু দিয়ে বসবাস করছেন এই চাষীরা।

উত্তর দিনাজপুরের মধু পাড়ি দিচ্ছে বিদেশের মাটিতে। জানা য়ায় এই মধু বিক্রি করে তারা এক সময় বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করতে করতেন কিন্তু এখন তা হয় না সব কিছুর দাম বেড়ে চলেছে কিন্তু দাম নেই মধুর ফলে মধু উৎপাদনের হার কমে গিয়েছে গেছে। এ বছর সরিষা চাষ করা হলেও জমিতে রস না থাকায় ফুলে মধু হচ্ছে না ফলে মধুর উৎপাদন কম হবে হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

তবে চাষী ভাইরা জানান রাজ্য সরকার সহযোগিতা করলে মধুর উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব। পশ্চিমবঙ্গের কৃত্রিম মৌমাছি চাষের উপযুক্ত আবহাওয়া, গাছপালা ও সহায়ক পরিবেশ থাকায় জীবন ও জীবিকার তাগিদে মৌ চাষ পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে এখন অনেক পরিবার অর্থনৈতিকভাবে নিজেদের স্বাবলম্বী করতে পারছে। প্রাপ্ত তথ্যানুযাী,রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের মৌ চাষিরা রবি মৌসুমে সরিষা চাষ হয় এমন এলাকায় মধু সংগ্রহের জন্য ছুটে আসেন।

সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহ করতে মালদা,মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কিছ এলাকা থেকে প্রায় দুই শতাধিক মৌ চাষি চলে আসেন উত্তর দিনাজপুর জেলায়। সাধারণত নভেম্বর মাস থেকে মধু সংগ্রহের কাজ শুরু হয়, চলে জানুয়ারি পর্যন্ত। এসব মৌ চাষি মধু উৎপাদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে জাতীয় উন্নয়নে রাখছেন বিশেষ। এই মধু এখন পাড়ি দিচ্ছে দেশের কোনায় কোনায় য়া এখন পাড়ি দিচ্ছে অন্তরজাতীক দেশেসংশ্লিষ্টদের তথ্য থেকে জানা গেছে, বাক্স ও অন্য আনুষঙ্গিক সামগ্রী একবার ক্রয় করলে প্রায় ১০ বছর তা ব্যবহার করা যায়। মৌমাছির চাষ হলো একটি সহায়ক উৎপাদন ব্যবস্থা।

সরিষা ক্ষেতের পাশেই মধু উৎপাদন করা যায়। এর মাধ্যমে ফুলে পরাগায়ণ করে সরিষার উৎপাদন হয়। অন্যদিকে পেশা হিসেবেও বেছে নিয়েছেন চাষিরা। ফলে মধুর উৎপাদন বেড়ে চলেছে। সঙ্গে মধু চাষির সংখ্যাও বাড়ছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, মৌমাছি চাষ করে মধুর উৎপাদন যে এখন একটি লাভজনক পেশা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাছাড়া দেশের বাইরে মধুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় এটি এখন একটি সম্ভাবনাময় শিল্পে পরিণত হয়েছে।

মৌমাছি চাষের মাধ্যমে সৃষ্ট মধু ও মোম শিল্পের বিক্রয় ও বিপণনেও যুক্ত করেছে দেশের এক বিরাট জনগোষ্ঠীকে। ফলে বেকার সমস্যা হ্রাসে এ শিল্প রাখছে এক বিরাট ভূমিকা। সরকার এক্ষেত্রে এগিয়ে এলে বিদেশে মধুর বাজার আরও বাড়বে। এ প্রসঙ্গে এলাকার মৌ চাষিবলেন, ‘আমার ৬০০ মৌ বক্স আছে। এতে এক টি বাক্সএ এক হাজার করে টাকা দেয় কম্পানি । তবে বিদেশেও দিন দিন মধুর চাহিদা বাড়ছে। সরকারের সহযোগিতা পেলে আরো ভালো করে এই চাষে এগিয়ে আসবে ব্যাপকভাবে মধু রপ্তানি করা সম্ভব।’

Susmita Sarkar

Share
Published by
Susmita Sarkar

Recent Posts

মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের কড়া নজর: পর্যালোচনা বৈঠকে অমিত শাহ

মণিপুরের ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে ওঠা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গতকাল নতুন দিল্লিতে…

17 hours ago

আদিবাসী সমাজের উন্নয়ন: প্রকল্প পর্যালোচনায় মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিশেষ বৈঠক

আদিবাসী সমাজের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা…

17 hours ago

হাওড়া-ধর্মতলা মেট্রোতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে, কমছে অপেক্ষার সময়

যাত্রীদের সুবিধার্থে এবং সকাল ও সন্ধ্যার অফিসের ব্যস্ত সময়ে যাত্রী ভিড় সামাল দিতে মেট্রো রেল…

17 hours ago

রবীন্দ্র সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা: শনিবার রাতে যান চলাচল বন্ধ থাকবে

কলকাতা, ১৬ নভেম্বর ২০২৪:শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি পোর্ট ট্রাস্টের উদ্যোগে আগামী শনিবার রাত থেকে রবীন্দ্র সেতু…

3 days ago

‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে ট্যাব বিতরণের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে, তদন্তে সিট গঠন করল কলকাতা পুলিশ

‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে শিক্ষার্থীদের ট্যাব বিতরণের টাকা দুর্নীতির অভিযোগে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ। বহু ছাত্রছাত্রীর ট্যাবের টাকা…

4 days ago

দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানায় আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে উত্তাল, বিজেপির বিক্ষোভে ধস্তাধস্তি

দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লক আজ উত্তাল আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে। বিজেপির ডাকে…

4 days ago