পশ্চিম মেদিনীপুর: হাতির হানা অব্যাহত মেদিনীপুর সদর ব্লকের নেপুরাতে। শুক্রবার রাতেই বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই পূর্ণবয়স্ক দাঁতালের। শনিবার রাতেই ঝুলে থাকা হাই ভোল্টেজ ইলেকট্রিক তার অবশ্য ঠিক করে দেওয়া হয়েছে ইলেকট্রিক দপ্তরের পক্ষ থেকে। তবে হাতির দাপট থেকে মুক্তি পাচ্ছে না চাষিরা। বিঘার পর বিঘা আলু, টমেটো, আখ সহ সবজি নষ্ট করছে দাঁতালের দল। আর এতেই কপালে ভাঁজ পড়েছে চাষিদের।
বনদপ্তর ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করলেও তা নিয়মিত পাচ্ছেন না বলেই অভিযোগ চাষিদের। ফলে চাষ নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন এই অঞ্চলের মানুষরা।বনদপ্তর এর সক্রিয়তা থাকলে এই ক্ষতি যে অনেকটাই কমতে পারতো এমনটাই দাবি চাষিদের। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহার দাবি, হাতির দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সরকারি নিয়ম মেনেই ক্ষতিপূরণের ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।
তবে জনরোষ যে কিছুটা রয়েছে তা অবশ্য মেনে নিয়েছেন বনদপ্তরের এই আধিকারিক। জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে কড়া বার্তার পরেও হাতিদের জন্য করিডর করতে পারেনি বনদপ্তর যা নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে বনবিভাগ। আর এই অস্বস্তির সাথে মাথাব্যথার কারন হচ্ছে চাষের ক্ষতি । চাষিদের এই দুর্ভোগের দিন কবে কাটবে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।