চাকদহ রামলাল একাডেমিতে চালু হল ইংরাজী মাধ্যম, আমন্ত্রিত শিক্ষক হিসাবে পড়াতে আগ্রহী স্কুলের প্রাক্তণী কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়


শুক্রবার,১১/০১/২০১৯
990

বাংলা এক্সপ্রেস---

বাংলা এক্সপ্রেস- এ কলম ✒ ধরলেন কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়
(শিক্ষক, চাকদহ পূর্বাচল বিদ্যাপীঠ)

নদিয়ার চাকদহ রামলাল একাডেমী জেলার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অন্যত্তম অগ্রণী এবং পথপ্রদর্শক।
এন এ এস এ থেকে হু, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন এই স্কুলের প্রাক্তণীরা। প্রতি বছরই এই বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ-মাধ্যমিকে প্রথম ২০ জনের তালিকায় থাকে ছাত্রছাত্রীরা। ২০১৬ সালের মাধ্যমিকে প্রথম দশজনের মধ্যে 7 জনই ছিল রামলাল একাডেমীর ছাত্র। ২০১৬ সালে যে ছাত্রটি তৃতীয় স্থান লাভ করেছিল, আদালতে খাতা রিভিউ করার পর সেই প্রথম হয়ে যায়।
ফলে রামলাল থেকে মাধ্যমিকে প্রথম হওয়ার রেকর্ডও হয়ে গেল।
এই স্কুলের প্রাক্তণী হিসাবে আমি গর্বিত।
এই উদ্যোগ অত্যন্ত দূরদর্শীতার পরিচয়।

আমন্ত্রণ পেলে আমিও আমন্ত্রিত শিক্ষক হিসাবে আমার নিজের ছোটবেলার এইস্কুলে ইংরাজী মাধ্যমে বিনা স্বার্থে পড়াতে যেতে রাজী আছি। কারন ইংরাজী মাধ্যমে পড়ানোর পূর্ব অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। এ.আই সাহেব অনুমতি দিলে সেটাও অসম্ভব নয়।

আমি বলতে পারি, What Ramlal thinks today other schools think tomorrow.

স্কুলে উচ্চ-মাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগে ইংরাজী মাধ্যম চালু আছে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই। এবার পঞ্চম শ্রেণী থেকেই ইংরাজী মাধ্যম চালু হল।
বাংলা মাধ্যমের পাশাপাশি ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে শুধুমাত্র পঞ্চম শ্রেণীতে ইংরাজী মাধ্যমে ভর্তির নেওয়ার সরকারী অনুমোদন ও সরকারী পুস্তক ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে। এরপর প্রতি বছর একটি করে ক্লাস ইংরাজী মাধ্যমে বাড়তেই থাকবে।

স্কুলের গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ণ, প্রাণীবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, ভুগোল, বাণিজ্যবিদ্যা, এডুকেশন ও কম্পিউটার বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্নাতক স্তর থেকে স্নাতকোত্তর স্তর বা গবেষনার ক্ষেত্রে ইংরাজীতেই লেখাপড়া করেছেন, তাই ইংরাজী মাধ্যমে পড়াতে কোনো অসুবিধাই হওয়ার কথা নয়। উচ্চ-মাধ্যমিক বিভাগে বেশ কয়েকবছর ধরে ইংরাজীতে পড়ানোর অভিজ্ঞতাও তৈরী হয়েছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। সরকারীভাবে তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। অডিও ভিসুয়াল টি.এল.এম সহ স্কুলের সবরকমের পরিকাঠামোও রয়েছে।

কলকাতা সহ বিভিন্ন শহুরে স্কুলগুলির শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে যাওয়ার পর ইংরাজী মাধ্যম চালু করার সঙ্গে সঙ্গে আবার শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়ছে। ফলে রাজ্য সরকারও ইংরাজী মাধ্যমের পাঠক্রম ও শিক্ষণ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করছেন। প্রকাশকরাও এবার C.B.S.E.- বোর্ডের বইগুলির থেকে উন্নত সহায়িকা প্রকাশের কাজে হাত লাগিয়েছেন। ফলে সরকারী স্কুলে ইংলিশ মিডিয়ামের ভবিষ্যত খুবই ভালো এই রাজ্যে।

অতএব পার্শ্ববর্তী বেসরকারী ইংরাজী মাধ্যমের স্কুলগুলির কপালে এবার ভাঁজ পড়তে চলেছে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট