ভাঙড়:আবার উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়।এবার পুলিশের নাকা চেকিংকে কেন্দ্র করে অশান্তির সূত্রপাত।পুলিশ জনতা খন্ডযুদ্ধে তিনজন বাইক আরোহী জখম হয়েছে বলে খবর।এদের প্রত্যেকের বাড়ী স্থানীয় এলাকায় বলে জানা গেছে।প্রথমে তিনজনকে স্থানীয় জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করা হয়।এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার কারণে কোলকাতার এক নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়।
স্থানীয়সূত্রে খবর, বুধবার সকাল ৯ টার দিকে স্থানীয় দুই যুবক প্রত্যেক দিনের মতো নিউটিউনের সাপুরজি এলাকায় কাজে যাচ্ছিল।সেসময় কাশিপুর থানার পুলিশ নাকা চেকিংয়ের নাম করে তাদের বাইক আটকায়।গতিনিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে তারা চলে যাচ্ছিল।তখন এক পুলিশকর্মী বাইক আটকানোর চেষ্টা করলে অপর দিক থেকে আসা অন্য একটি বাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।এলাকার মানুষের অভিযোগ,সেসময় পুলিশ তাদের না উদ্ধার করে বরং লাঠিপেটা শুরু করে।এই ঘটনায় জনতা উত্তেজিত হয়ে ওঠে।এলাকার মানুষ পুলিশের বিরুদ্ধে তোলা আদায়ের মতো গুরুতর আভিযোগ এনেছে।তারা বলেন,চেকিংয়ের নামে মানুষকে হেনস্থা করা হয়।গাড়ী ধরে কাগজ পত্র চাওয়া হলে না দেখাতে পারলে চাওয়া হয় ১০০,২০০ কিংম্বা ৫০০ টাকা।তাদের আরও আভিযোগ গাবতলা বাজারে এমনিতেই রাস্তার উপরে হাট বসে।তার উপর পুলিশ গাড়ী ধরার জন্য তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়।আরও মারাত্মক অভিযোগ কাশিপুর থানার বিরুদ্ধে।সেটা হল যে জায়গায় গাড়ী ধরা হচ্ছিল সেটা কোলকাতা লেদার কম্পলেক্স থানা এলাকার মধ্যে।
বিক্ষুব্ধ জনতা ঘটনার পর ভোজেরহাট শেখরপুর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।তখন ডিউটিরত পুলিশকর্মীরা কার্যত সেখান থেকে পালাতে বাধ্য হয়।পরে কাশিপুর থানা থেকে আরও পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ শুরু করে।তাতেও জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা যায়নি।পুলিশের গাড়ী ঘিরে ধরে পাশের জলাজয়ে ফেলার চেষ্ঠা করে তারা।গাড়ী থেকে টেনে বার করারও চেষ্টা করা হয়।সেখান থেকে কার্যত প্রাণ হাতে নিয়ে পালায় পুলিশ।জনতা তখন পুলিশকে লক্ষ করে ইটবৃষ্টি শুরু করে।কিছুক্ষণ পরে কাশিপুর থানার ওসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্্যাফ ঘটনা আসে।তখন জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালায় এবং অবরোধ মুক্ত হয় এলাকা।তবে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।ঘটনাস্থলে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
পুলিশের বিরুদ্ধে তোলা তোলার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।পড়ে গিয়ে আহতদের উপর লাঠিপেটার অভিযোগোও অস্বীকার করেছে পুলিশ।পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় নিয়মমাফিক এদিনও নাকা চেকিং করা হচ্ছিল।সেসময় দুজন যুবক হেলমেট ছাড়া বাইকে চেপে যাচ্ছিল।তখন এক পুলিশ কর্মী তাদের দাড়াতে বললে তারা পালানোর চেষ্টা করে।অপর দিক থেকে আর এক জন যুবক বিপরীত দিক থেকে আসছিল।তারও মাথায় হেলমেট ছিলনা।তখন দুটো বাইকের মধ্যে সংঘর্ষে তিন জন আহত হলে পুলিশ তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।জনগন ভূল বুজেছে বলে পুলিশের দাবী।