মজে যাওয়া নদী গুলিকে পূনর্জীবিত করতে উদ্যোগে হয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন


শুক্রবার,০৪/০১/২০১৯
486

বাংলা এক্সপ্রেস---

রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মধ্য দিয়ে মজে যাওয়া নদী গুলিকে পূনর্জীবিত করতে উদ্যোগে হয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরনায় উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের শ্রীমতি নদীর সংস্কার করতে উদ্যোগী হল পঞ্চায়েত সমিতি। সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে বাধ দিয়ে জল আটকে দেওয়া এবং পলি জমে নাব্যতা হাড়ানো শ্রমতি নদী এখন মৃত। এই নদীকে ১০০ দিনের প্রকল্পে সংস্কার করে প্রান ফেড়াতে চায় পঞ্চায়েত স্মিতি। দীর্ঘদিন ধরে নদী বাচানোর দাবি উঠেছে।

সেই দাবিকে মর্যাদা দিয়ে কালিয়াগঞ্জ ব্লক ও জেলা প্রশাসন সচেষ্ট হয়েছিল শ্রীমতি নদী সংস্কারে। এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্লক ও জেলা প্রসাশনের তরফে যৌথ দল শ্রীমতি নদী পরিদর্শন করে। এদিন দুপুরে অনন্তপুর পঞ্চায়েতের ভেলাই হাট এলাকায় গিয়ে নদীর বর্তমান চিত্র দেখে যৌথ দল। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকার, সহকারি সভাপতি তপন দেবসিংহ, জেলা পরিষদের সদস্য দধীমোহন দেবসর্মা ছাড়াও এই দলে ছিলেন জেলা এনআরইজিএস নোডাল অফিসার শুভ্রজিত গুপ্ত, বিডিও প্রসন্য কুমার ধারা সমেত ব্লক এনআরইজিএস বিভাগের লোকজন।

কালিয়াগঞ্জের অনন্তপুর পঞ্চায়েতের এই ভেলাই সংলগ্ন এলাকা হয়ে ওপার বাংলা থেকে এদেশে প্রবেশ শ্রীমতি নদী। এই নদী কালিয়াগঞ্জ ব্লক ও শহর হইয়ে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ছুয়ে হরিরামপুর ব্লক হইয়ে মালদা জেলায় গিয়েছে। মালদা জেলার বামনগোলা দিয়ে হবিবপুরে মহানন্দায় মিশেছে। একশতক আগে প্রানবন্ত এই শ্রীমতি নদী এখন অস্বিত্ব সংকটে।

জেলা এনআরইজিএস নোডাল অফিসার শুভ্রজিত গুপ্ত জানান, ১০০ দিনের কাজের মধ্য দিয়ে শ্রীমতি নদীর সংস্কারের নুদ্যোগ নেওয়া হইয়েছে। সেই মতাবিক আজ ব্লক ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে নদীর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হল নদীর প্রায় মজে যাওয়া অবস্থায়, বেশির ভাগ কৃষিকাজ ব্যবহার করা হচ্ছে। কৃষদের সাথে আলোচনা করা হবে। শ্রঈমতি নদী বাচিয়ে তুলতে ১০০ দিনের প্রকল্পে পলি তুলে নাব্যতা ফিরে পাবে নদী। তিনি আরো জানান রায়গঞ্জের কুলিক নদীর ধাচে কালিয়াগঞ্জের শ্রীমতি নদী সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনা এব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট