দরিদ্র পরিবারগুলিতে বিনামূল্যে গ্যাস সংযোগ পৌছে দিতে উদ্যোগ ভারত সরকারের


শুক্রবার,০৪/০১/২০১৯
564

বাংলা এক্সপ্রেস---

পশ্চিম মেদিনীপুর: সমস্ত শ্রেনীর দরিদ্র পরিবারে বিনামূল্যে গ্যাস সংযোগ এর জন্য আরও বেশি করে উদ্যোগ গ্ৰহন ভারত সরকারের। শেষ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে দেশের এক, অদ্বিতীয় এবং অপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাবান দল বি জে পি পরাজিত হ‌ওয়ার পর দেশের সমস্ত শ্রেনীর দরিদ্র পরিবারকে বিনামূল্যে গ্যাস সংযোগ দিতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত সরকারের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। এস সি, এস টি দের জন্য বাড়ি বাড়ি গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এবার প্রধানমন্ত্রী এলপিজি পঞ্চায়েত শুরু হতে চলেছে জেলায় জেলায়, উজ্জ্বলা যোজনা দ্বিতীয়ার্ধে এবারের টার্গেট তিন কোটি গ্রাহক, ঠিক এরকমই খবর হতে চলেছে এলপিজির তরফ থেকে।

এই দিন মেদিনীপুরের একটি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করে যাবতীয় বিস্তারিতভাবে জানান এলপিজি আধিকারিক ইন্দ্রনীল আগারওয়াল। ইন্দ্রনীল আগারওয়ালের তথ্য অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী উজালা যোজনার কাজ শুরু হয়েছিল 1 লা জানুয়ারী 2016 সাল থেকে উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায এক গ্রাহকের হাতে প্রদানের মাধ্যমে শুরু হয় প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা গ্যাস প্রদানের কাজ। মূলত এর উদ্দেশ্য ছিল সমাজের পিছিয়ে পড়া বিপিএল তালিকা ভুক্ত মানুষদের কাছে অতি সহজে গ্যাসের কানেকশন পৌঁছে দেওয়া, বিশেষ করে যারা সেই সব মহিলাদের জন্য যারা এখনো কাঠের উনুন এর মাধ্যমে রান্না করে এবং বহু কষ্টে দিন যাপন করে। সেসব মা বোনেদের সাহায্যের উদ্দেশ্যেই ,কষ্ট লাঘব করার জন্যই এই উজালা যোজনা, প্রকল্পের টার্গেট ছিল 5 কোটি গ্রাহক সংগ্রহ করা, সেই টার্গেট ফিলাপের পর এইবার নতুন করে শুরু হতে চলেছে বিপিএল তালিকা ভুক্ত বাদেও এস সি ও এস টি দের জন্য গ্যাস কানেকশন দেওয়া।

সমাজের পিছিয়ে পড়া এবং বিভিন্নভাবে সমাজের বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারা। সমাজের বিশেষ প্রয়োজনে বিভিন্ন কাজ করে থাকে কিন্তু তারাই বঞ্চিত তারাই ,খুব কষ্টে কাঠের উনুন জ্বালিয়ে দিন যাপন করে তাই তাদের সুবিধার্থে এইবার হাত বাড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই এবার 2020 এর টার্গেট হিসেবে নেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী এলপিজি পঞ্চায়েত কর্মসূচির মাধ্যমে এস সি ও এস টি দের জন্য গ্যাস কানেকশন দেওয়া ফ্রিতে তে। তাই এখন থেকে শুরু হয়েছে সেই প্রকল্পের কাজ। নির্ধারিত টার্গেট বা সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে 20ই মার্চ 2020। গ্রাহক সংখ্যা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে 3 কোটি। বলা যায় যে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম এই দুই জেলা মিলিয়ে এই মুহূর্তে বেনেফিশিয়ারির সংখ্যা 6 লক্ষ 24 হাজার 2 জন যা টার্গেট এর প্রায় 80% কমপ্লিট হয়ে গিয়েছে।

এই দিন ইন্দ্রনীল বাবু সাংবাদিক বৈঠকে বলেন এবারে তাদের প্রধানমন্ত্রী এলপিজি পঞ্চায়েত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে , যে কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্যই হলো গ্রামে গ্রামে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে গ্যাসের কানেকশন তুলে দেওয়া গ্রাহকদের। গ্যাসের কানেকশন এবং গ্যাসের দ্বারা রান্না করার সুবিধা সুবিধার কথা গ্রাহকদের মধ্যে তুলে ধরা এবং সচেতন করা। এই উদ্দেশ্যেই এই পর্যন্ত 144 টি ক্যাম্প করা হয়েছে বলে আধিকারিক সূত্রের খবর , আগামী দিনে প্রায় 400 ক্যাম্পেনিং করা হবে বলে তারা তাদের বক্তব্যে জানান।

এই প্রথম পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের কাছে অতি সহজে গ্যাসের কানেকশন পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হলো যার মধ্যে রয়েছে গ্রামীণের অন্তর্দ্বয় যোজনার গ্রাহকরা, রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গ্রাহকেরা, এছাড়া পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মধ্যে ও অতি সহজে যাতে গ্যাসের কানেকশন পেতে পারেন সেই সুবিধার্থে আগামী দিনে ক্যাম্পেনিং করবেন তারা। রাজনৈতিক মহলের ধারণা ভোটকে সামনে রেখেই প্রধানমন্ত্রী এখন কল্পতরু হয়ে উঠতে চাইছেন, তাই শুরু হয়েছে কেন্দ্রের সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রদানের কাজ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট