রায়গঞ্জঃ বৃহস্পতিবার সিপিএমের জেলা কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা সম্পাদক অপুর্ব পাল জানান, লোকসভা নির্বাচনের আগে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছে জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। ইসলামপুরের দাঁড়িভিট হাইস্কুলের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও আসল অপরাধীকে সনাক্তকরণে ব্যার্থ রাজ্য সরকার। তাই একদিকে দেশজুড়ে মৌলবাদী রাজনীতির বাড়বাড়ন্ত অবস্থা অন্যদিকে রাজ্যে তৃণমূল সরকারের হাতে বিপর্যস্ত রাজ্যের গনতন্ত্র।
রাজ্যের এই গনতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবীতে আগামী ১৯ শে জানুয়ারী ইসলামপুরের দাঁড়িভিটে সভা করতে চলেছে সিপিএম। এই সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরী,সাংসদ মহঃ সেলিম সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। বিজেপি- আর এস এসের ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি ও তৃণমূলের গনতন্ত্র হত্যার প্রতিবাদে এই সভা হবে।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে ইসলামপুরের দাঁড়িভিট হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গন্ডগোল হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তাপস বর্মন ও রাজেশ সরকার নামে দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়। যদিও পুলিশ প্রশাসন জানিয়ে দেয় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়নি দুই ছাত্রের। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনে নামে বিজেপি ও কংগ্রেস। দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জেলায় এসে প্রতিবাদে সরব হন।
বিজেপি নেতাদের সমর্থনে দিল্লীতে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে প্রকৃত তদন্তের দাবী জানান নিহতদের পরিবার। এখনো সিবি আই তদন্তের দাবীতে স্কুলমাঠে ধর্নামঞ্চ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নিহতদের পরিবার সহ গ্রামবাসীদের একাংশ। এরই মধ্যে রবিবার স্কুল মাঠে সভা করার কথা রয়েছে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু আন্দোলনকারীরা স্পস্ট জানিয়ে দিয়েছেন সিবিআই তদন্ত না হলে কোন দলকে মাঠে সভা করতে দেওয়া হবে না। যা নিয়ে তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
এদিন সিপিএমের জেলা সম্পাদক বলেন,” আগামী ১৯ শে জানুয়ারি জনসভা করার জন্য পার্টির পক্ষথেকে ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুমতির আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি না পেলেও এলাকার মানুষদের সাথে কথা বলে তাদের বুঝিয়ে দাড়িভিটে জনসভা করা হবে।