পশ্চিম মেদিনীপুর : দুপুর 1টা নাগাদ 60 নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বেলদা কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা। ঘটনাটি ঘটে মেদিনীপুরের প্রবেশ পথ মোহনপুর ব্রীজে। গতকাল বেলদা কলেজের একজন গণিতের অধ্যাপক একটি সরকারী বাসে চৌরঙ্গীতে উঠেন, নামবেন মোহনপুর ব্রীজে। নিয়মিত যাতায়াত করেন ফলে প্রতিটি সরকারী, বেসরকারী বাস সাত টাকা ভাড়া নেয় বলে ঐদিনও তিনি সাত টাকা ভাড়া দেন। কন্ডাক্টর দশ টাকা ভাড়া চাওয়ায় শুরু হয় কথাকাটি।
এরপর কন্ডাক্টর নির্দিষ্ট স্টপেজ ছাড়াই রাস্তার মাঝে টেনে হিঁচড়ে লাথি মেরে অকথ্য গালিগালাজ করে বাস থেকে নামিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন অধ্যাপক। সেই ঘটনার প্রতিবাদে বেলদা কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা মেদিনীপুর এসে ঐ বাসটিকে আটকানোর পাশাপাশি শুরু করেন পথ অবরোধ। অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনাস্থলে কোতয়ালী থানার পুলিশ পৌঁছে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিলে উঠে অবরোধ। বেলদা কলেজের ছাত্রী বিউটি সিংহ বলেন, অধ্যাপকের উপর এই ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবী জানায়।
শুধু অধ্যাপক নয়, ছাত্র ছাত্রীদের উপরও ঘটছে এরকম ঘটনা। আর এক ছাত্র সন্দীপ বেরা বলেন, ঐ কন্ডাক্টরকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে যাতে কোন বাসে ডিউটি না পায়। অন্যদিকে ছাত্র ছাত্রী বাস যাত্রী কমিটির সম্পাদক ব্রতীন দাস বলেন, সমস্ত বাসের কন্ডাক্টররা এই রকম আচরণ করে। আর টি ও -র নির্দেশিকা রয়েছে ছাত্র ছাত্রীদের অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার। কিন্তু তা নেওয়ার পরিবর্তে ছাত্রদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বাস থেকে নামিয়ে দেয়। এর স্থায়ী সমাধান পরিবহন দপ্তর না করলে, আগামী দিনে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন।