নতুন বছর পড়তেই পিকনিক স্পটগুলিতে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে  


শুক্রবার,২৮/১২/২০১৮
949

বাংলা এক্সপ্রেস---

উত্তর দিনাজপুর: ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন পিকনিক স্পটগুলিতে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। শুধুমাত্র এই জেলা নয়, আশপাশের জেলা থেকেও বহু মানুষ এই সমস্ত জায়গায় বনভোজন করতে আসছে। সারা বছরের ব্যস্ততার মধ্যে একটি দিন বাড়ির বাইরে প্রকৃতির মাঝে প্রিয়জন বা বন্ধুদের নিয়ে পিকনিকের আমেজে অনেকেই গা ভাসিয়ে দেন। কিন্তু পিকনিক করতে এসে ওই সমস্ত জায়গায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মানুষকে। রায়গঞ্জের মণিপাড়া এলাকায় কুলিক ফরেস্টে এবার পিকনিক নিষিদ্ধ করেছে বন দপ্তর।

আবদুলঘাটা পিকনিক স্পট বা ইসলামপুরের সাপনিখোলা জঙ্গলে সামান্য কিছু পরিকাঠমো থাকলেও জেলার অন্যান্য পিকনিকের জায়গাগুলিতে পরিকাঠামোগত কোনও সুবিধা এখনও গড়ে ওঠেনি। ওই সমস্ত জায়গায় পিকনিক করার জন্য পানীয় জল থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই পিকনিকের দলগুলিকে বহন করে নিয়ে যেতে হয়। উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদ অবশ্য ওই সমস্ত পিকনিকের জায়গাগুলিতে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছে।
রায়গঞ্জের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক গৌতম তান্তিয়া বলেন, মণিপাড়ায় কুলিক ফরেস্টে এবার পিকনিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে শুনেছি। স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য জায়গাগুলিতে একারণে পিকনিকের দলগুলি বেশি যাবে।

কিন্তু ওইসব জায়গায় কোনও ধরনের পরিকাঠামো নেই। পিকনিক হয়ে যাওয়ার পর অনেক জঞ্জাল পড়ে থাকে। এর ফলে এলাকা দূষিত হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত বা জেলা পরিষদের মাধ্যমে যদি ওই সব জায়গায় কিছু পরিকাঠামো তৈরি করে দেওয়া হয় তাহলে পরিবেশের পক্ষে খুবই ভালো হয়। বন দপ্তরের রায়গঞ্জ ডিভিশনের ডিএফও দ্বিপর্ণ দত্ত বলেন,মণিপাড়া এলাকায় কুলিক ফরেস্টে পিকনিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ইসলামপুরের সাপনিখোলা ফরেস্টে পিকনিক করা যেতে পারে। তবে সেখানে আমাদের কোনও পরিকাঠামো নেই। যারা পিকনিক করতে যাবেন তাদের নিজেদের দায়িত্বেই সবকিছু নিয়ে যেতে হবে। জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ পূর্ণেন্দু দে বলেন,জেলার পিকনিক স্পটগুলিতে তেমন কোনও পরিকাঠামো নেই। তবে ওই সমস্ত জায়গায় পিকনিক করতে আসা মানুষদের জন্য কোনও পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায় কিনা তা নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব।

উত্তর দিনাজপুর জেলার কুলিক পক্ষী নিবাসের পাশে মণিপাড়ায় কুলিক ফরেস্টে প্রতি বছর বহু মানুষ পিকনিক করতে আসত। কিন্তু এবার সেখানে পিকনিক নিষিদ্ধ হওয়ায় অন্যান্য পিকনিক স্পটগুলিতে ভিড় বাড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আবদুলঘাটা পিকনিক স্পটে শীতের সময়ে প্রতি বছর বহু মানুষ পিকনিক করতে আসে। জেলার নানা জায়গার পাশাপাশি মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর, এমনকী বিহার থেকেও বহু মানুষ পিকনিক করতে আসে। কিন্তু জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের সুভাষগঞ্জে কুলিক নদীর ধারে, নাগর নদীর পাড়ে বাহিন রাজবাড়ি এলাকায়,কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরে ট্যাঙ্গন নদীর ধারে, হেমতাবাদ ব্লকের বাঙ্গালবাড়ি এলাকার বাহারাইল প্রভৃতি স্থানে বহু মানুষ শীতে পিকনিক করতে যায়।

এই সমস্ত জায়গায় পিকনিক করতে আসা মানুষকে এখনও জল, জ্বালানির কাঠ সহ অন্যান্য সমস্ত কিছুই বহন করে নিয়ে যেতে হয়। এসব জায়গায় শৌচাগার না থাকায় পিকনিকে আসা মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়। সাধারণ মানুষের দাবি, প্রশাসন বা জেলা পরিষদ এসব জায়গায় পিকনিকের মরশুমে কিছু পরিকাঠামো অন্তত গড়ে তুলুক। যাতে পিকনিক করতে এসে মানুষকে সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট