পশ্চিম মেদিনীপুর: বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ ও ব্যঞ্জনবর্ণ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে দুদিনের আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরেন্দ্র শাসমল সভাগৃহে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়
চারাগাছে জল দিয়ে। উদ্বোধন করেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও বাণিজ্য বিভাগের ডিন অধ্যাপক দামোদর মিশ্র। উপস্থিত ছিলেন দলিত গবেষক তথা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা গ্রন্থাগারিক সেক মহম্মদ সইদুল্লাহ, অধ্যাপক জয়জিৎ ঘোষ।
সেমিনারের বিষয় ছিল,’বাংলা সাহিত্য-সমাজ-শিক্ষায় দলিত শ্রেণীর প্রতিফলন’। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ভাষণ দেন ডিন অধ্যাপক দামোদর মিশ্র। দামোদর মিশ্র বলেন,’আজকের দিনে ভারতবর্ষে দুটি শ্রেণী সবচেয়ে বেশি আলোচিত তাঁরা হলেন দলিত ও কৃষক। যুগোপযোগী বিষয়কে সেমিনারের আলোচ্য বিষয় করে বাংলা বিভাগ এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রান্তিক ও দলিত মানুষের কথা মহাশ্বেতা দেবী, শৈলজানন্দের সহ প্রমুখ লেখদের সাহিত্যে।
দলিত সাহিত্য নিয়ে আগামী দুদিন ধরে আলোচনা হবে। সেখানে ভিন্ন ভিন্ন মত উঠে আসবে। যার থেকে আগামী দিনে পথ চলতে সাহায্য করবে। দলিত সাহিত্য নিয়ে আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে। কারন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রান্তিক এলাকায় অবস্থান। সেই জায়গা থেকে একে মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছেন আমাদের উপাচার্য অধ্যাপক রঞ্জন চক্রবর্তী। আমরাও তাঁর সেই মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়েছি।’
দলিত গবেষক তথা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’দলিতায়নের মধ্যে রাজনীতি আছে। আর প্রান্তিক মানুষের মধ্যে রাজনীতি রয়েছেন। এখন দেখা যাচ্ছে দলিতরা দলিতদের ক্ষমতা দিচ্ছে না। নিজেই ক্ষমতা ভোগ করতে চাইছেন। দলিত শব্দটি নিয়ে আজকের দিনে অনেক মত উঠে এসেছে। ‘অনুষ্ঠানের যুগ্ম আহ্বায়ক বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সরোজকুমার পান ও ছন্দা ঘোষাল বলেন,”আজকের দিনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় দলিত সাহিত্য। তাঁদের নিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অধ্যাপক ও বক্তারা পড়ুয়া ও গবেষকদের কাছে আলোচনা করবেন।”