ক্রিসমাস আসতেই কেকের রমরমা শুরু বাজারে। দোকানে দোকানে নতুন নতুন কেকের পসরা সাজিয়ে বসবেন ক্রেতারা। আর সেইসমস্ত হাজারো কেকের জোগান দেয় যারা সেই বেকারি শিল্পকেন্দ্র গুলিও এই এক মাস বিস্কুট, রুটিকে কিছুটা পিছনে ফেলে কেক তৈরীতে মন দেন। আর এই এক মাসের জন্য অতিরিক্ত রুজিরোজগার হয় কেক তৈরীতে পারদর্শী মানুষদের। সারা বছর অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকলেও এই সময়টাতে তাই সেইসমস্ত মানুষরা একটু বেশী রোজগারের আশায় বেকারি কারখানামুখি হয়। সুগন্ধ্যায় দিল্লী রোডের ধারে একটি অত্যাধুনিক বেকারি কারখানার হিসেব বলছে সারা বছর এখানে প্রায় ৬০জন কর্মচারী কাজ করলেও শুধুমাত্র বড়দিনের কথা মাথায় রেখে একমাস কর্মচারীদের সংখ্যা দ্বিগুন করতে হয়।
কারন এই সময়ে বাজারে কেকের চাহিদা বাড়ায় কর্মি সংখ্যা না বাড়ালে তা যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। তাই শুধু জেলা নয় জেলার বাইরে থেকেও বহু মানুষ সারাবছরের কাজ ফেলে এখানে এইসময়ে অতিরিক্ত কিছু রোজগারের আশায় কাজে যোগ দেন। অত্যাধুনিক এই কারখানায় ময়দা মাখা থেকে শুরু করে হিট চেম্বারে শুকোনো সবকিছুই যন্ত্রের মাধ্যমে হয়। আর পরিমানমত সেই সমস্ত উপকরন মেশিনে দেওয়া নেওয়া করাটাই মূলত কর্মীদের কাজ। তবে সবথেকে বেশী সংখ্যক কর্মী লাগে কেক প্যাকিং এর সময়। বাজারে চাহিদার কথা মাথায় রেখে মেশিন থেকে বেরনো সেইসমস্ত কেক চটুল হাতে নিমেষের মধ্যে প্যাকিং হয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে যায়।
সুগন্ধ্যা থেকে ব্যান্ডেল, চুঁচুড়া, ত্রিবেনী, চন্দননগর, চাঁপদানি, হুগলি জেলার এইসমস্ত এলাকার বেকারিগুলিতে গেলেই এখন চরম ব্যাস্ততা চোখে পড়বে। সুগন্ধ্যার ফুড সেফটি লাইসেন্স পাওয়া বেঙ্গল বেকারির মালিকপক্ষ নুরুল সরকার বলেন এবারেও বাজারে নতুন কিছু কেক নিয়ে আসা হচ্ছে। তবে নোটবন্দি ও জিএসটি সমস্যা না থাকলেও নোটবন্দির পর শুরু হওয়া খুচরো সমস্যা কিন্তু আমাদের পিছু ছাড়ছে না। খুচরো ব্যাবসায়ীরা তো দূরের কথা ব্যাঙ্কও প্রতিদিন হাজার টাকার বেশী খুচরো নিচ্ছে না। রোজ ঘরে যা খুচরো ঢুকছে সেই তুলনায় তা কিছুই না। ফলে প্রচুর পরিমানে খুচরো টাকা ঘড়ে জমে যাচ্ছে। বড়দিনের বাজারে যা আরও অনেকটাই বাড়বে।