মাঝে আর মাত্র একটা দিন সেজে উঠেছে ব্যান্ডেল চার্চ


রবিবার,২৩/১২/২০১৮
1406

বাংলা এক্সপ্রেস---

জাঁকিয়ে পরেছে শীত, আর শীত মানেই একটু ঘুরতে যাওয়া, হাতে কিছুটা সময় থাকলেই বেড়িয়ে পড়া, সামনেই ছুটির বড়দিন, তাই সময় নষ্ট না করে বহু মানুষ বেড়িয়ে পরে ব্যান্ডেল চার্চের উদ্যেশ্যে। ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনোএই ব্যান্ডেল চার্চ। ১৫৯৯ সালে হুগলি নদীর তীরে পর্তুগিজরা একটি গির্জা স্থাপন করে। সেটাই ছিল পশ্চিমবঙ্গের প্রথম গির্জা অার তার নাম ব্যান্ডেল চার্চ।

১৬৩২ সালে মুগল সম্রাট শাহজাহান এটিকে ধংশ করে দেয়।সেই সময় ফাদার জোয়ান ডে ক্রুজকে একটি মত্ত হাতির সামনে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু হাতিটি তাকে পায়ে পিষে ফেলার বদলে শুঁড়ে করে তুলে পিঠে বসিয়ে নেয়। এই ঘটনায় সম্রাট এতই চমৎকৃত হন যে, তিনি ফাদারকে ততখনাত মুক্তি দেন এবং নতুন করে গির্জা তৈরির জন্য ফাদারকে করমুক্ত জমি দান করেন। নতুন করে গির্জা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় একটি মূর্তি গঙ্গার পাড়ে ভেসে ওঠে।

মূর্তিটির নাম দেওয়া হয়, ‘আওয়ার লেডি অফ হ্যাপি ভয়েজ’ এবং মুর্তিটিকে গির্জায় স্থাপন করা হয়। নদিতে তে বিপদগ্রস্ত একটি জাহাজের নাবিক তার জাহাজের প্রধান মাস্তুলটি দান করেন। সেই মাস্তুলটি এখনও গির্জা প্রাঙ্গণে রাখা আছে। মাস্তুলকে পর্তুগিজ ভাষায় ব্যান্ডেল বলা হয়। সেই থেকেই এই গির্জার নাম ব্যান্ডেল চার্চ।

গির্জাটিতে একটি বিশাল ঘড়িসহ স্তম্ভ রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এতে প্রচুর পরিবর্তন করা হয়েছে। পুরনো স্থাপত্যের কিছুই প্রায় অবশিষ্ট নেই এই চার্চে। গির্জায় ঢুকতেই দরজার ওপরে নৌকোয় মাতা মেরি ও শিশু যিশুর মূর্তি রয়েছে।
বর্তমান ফাদার টি এল ফ্রানসেস জানান বড়দিনের দিন এই গির্জায় সাধারনে প্রবেশ নিষেধ থাকে। গির্জা সংলগ্ন মাঠে প্রভু যিশুর জন্ম থেকে শুরু করে পুরো ইতিহাস সেখানে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে।

রাজ্য সরকার এবারে বিশেষ নজর দিয়েছে এখানে। এই প্রথম এত সুন্দর গির্জাটিকে আলোর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তাই তিনি রাজ্য সরকার কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। যদিও ২৫ শে ডিসেম্বর চার্চ খোলা না থাকলেও বহু মানুষ চার্চ সংলগ্ন নদীর পাড়ে পিকনিক করে এবং নৌকা বিহার করে। সব মিলিয়ে উতসবের আরও একবার মজা দিতে তৈরি ব্যান্ডেল চার্চ।

Affiliate Link Earn Money from IndiaMART Affiliate

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট