পশ্চিম মেদিনীপুর: খড়গপুর স্টেশনের একজন সাধারণ টিকিট কালেকটার থেকে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হয়ে ওঠার শুরুটা এই মাঠ থেকে। খড়গপুর শহরের আলভা ময়দান। যেখানে ক্রিকেট প্র্যাকটিস করতেন তিনি। যাঁর কথা এতক্ষন ধরে বিশ্লেষণ করা হচ্ছিলো তিনি কে জানে? তিনি সকলের কাছে জনপ্রিয় ভারতীয় দলের দুই বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। আজ ও ছেলে ধোনির বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর এর মা কলাবতী দেবী।
ধোনি যখন খড়গপুর এ থাকতেন তখন এই বৃদ্ধাই তাঁকে রান্না করে খেতে দিতেন। তার পাশাপাশি এঠ বাসন ও ধুয়ে দিতেন কলাবতী দেবী। কিন্তু যুগের কি পরিবর্তন। ধোনি আর আসেনা। এই কষ্ট বুকে নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন কলাবতী দেবী। রেলের ভাঙা একটি ঘরে থাকেন এই বৃদ্ধা। চোখে দেখতে পান না কলাবতী দেবী। তাঁকে প্রতিদিন খাবার দেন পাশের রেলের কুয়াটারে থাকা কিছু স্থানীয়রা।
কলাবতী দেবীর স্বামী খুব অল্প বয়সে মরা যান। আর সঙ্গী বলতে ছিল একটি মেয়ে। কিন্তু সেই মেয়েও মারা যায়। আজ এই ভাঙা ঘরে পুরো একা কলাবতী দেবী। তাঁর নেই কেউ। সংগী বলতে রয়েছে শুধুই চোখের জল। বিধবা ভাতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত আজ কলাবতী দেবী।
কলাবতী দেবী বলেন,’ ধোনি আমাকে মা বলে ডাকত এবং আমি তাকে ছেলে বলতাম। আমি চোখে দেখতে পাইনা। আজ ও অপেক্ষায় আছি আমি। একবার এসে তো দেখে যেতে পারে। কেমন আছি আমি। বিয়ে করে কেমন হয়েছে সেটা তো একবার দেখি।’ যাঁর নাম ক্রিকেটের দুনিয়াতে জয়জয়কার। তাঁর মা আজ ও চোখের জল ফেলছেন। ধোনি কী শুনতে পাচ্ছেন হতভাগা মায়ের কথা? সেই প্রশ্নই কুরে খাচ্ছে কলাবতী দেবীর মন!