কলকাতা: দু-দিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত হল ইকনমিক রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি ও সহায়ের বার্ষিক অনুষ্ঠান। ঋষি রাজনারায়ণ বসু স্মৃতি মন্দিরের মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান ঘিরে সংস্থার সদস্য- সদস্যাদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উন্মাদনা। দুদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় মানুষেরাও। পৃথিবী গবেষক মাইকেল তরুণ এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পৃথিবীকে দূষণ মুক্ত করার আহ্বান জানান। রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরমাতা দীপা ঘোষও উপস্থিত হয়েছিলেন অনুষ্ঠানে। ইকনমিক রুরাল ডেভলপমেন্ট সোসাইটির সামাজিক কর্মকান্ডের ভূয়শী প্রশংসা করেন তিনি। মানবাধিকার সংগঠক সুনীত গোপ হাজির হয়েছিলেন দ্বিতীয় দিনে। সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে এই সংস্থা যে ধারাবাহিক কাজ করে চলেছে তা উল্লেখ করে সকলকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।এছাড়াও সহায়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চিরঞ্জীব সামন্ত, পৌলমী চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা।
প্রথম দিনের অনুষ্ঠান ওয়াই.এস.সি প্রোগ্ৰামের উপর আলোকপাত করে তাদের বিষয়বস্তু বিভিন্ন স্টলের মাধ্যমে সকলের কাছে তুলে ধরা হয়। ইকনমিক রুরাল ডেভলপমেন্ট সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মধু বসু ও সহায়ের প্রোগ্ৰাম ম্যানেজার দেবত্রি দাস অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। ওয়াই.এস.সি প্রোগ্ৰামের বিভিন্ন বিভাগে সফল শিক্ষার্থী, সি.এফ, অভিভাবকদের পুরস্কার ও শংসাপত্র তুলে দেন ওয়াই.এস.সির ফেসিলেটর মহঃ আরশাদ ও প্রোগ্ৰাম ম্যানেজার দেবত্রি দাস। নাচ, নাটকের পাশাপাশি ম্যাজিক শোয়ের আয়োজনও করা হয়। সংস্থার যুবদলের প্রয়াসে গ্ৰাম বাংলার আদলে সম্পূর্ণ আয়োজন উপস্থিত সকলের মন ছুঁয়ে যায়।
প্রথম দিনের ছন্দে তাল মিলিয়ে দ্বিতীয় দিনের অনু়ষ্ঠানের শুভারাম্ভ করেন সহায়ের ডিরেক্টর সিক্তা ব্যানার্জী ও ইকনমিক রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির প্রকল্প আধিকারিক শুভাশীষ গুহ। বদলাও, উল্লাস, উন্মেষ, উদ্যোগ, কান্ডারী, ই.আর.সি প্রোগ্ৰামের শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে তাদের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিটি বিভিন্ন পোস্টার, ফ্লেক্স ও মডেলের মাধ্যমে নিজেদের প্রোগ্ৰাম সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য তুলে ধরেন। নাচ,গানের পাশাপাশি উল্লাস ও যোগার শিক্ষার্থীদের গানের তালে তালে বিভিন্ন ক্রীড়া কৌশল ও উন্মেষের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ও সংস্থার সমাজকর্মীদের দুটি নাটক দর্শকদের মন জয় করে নেন। ২০১৮ সালে ইকনমিক রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি সহায়ের “বেস্ট পার্টনারশিপ প্রজেক্ট” এবং বদলাও প্রোগ্ৰামে প্রথম স্থান দখল করায় সংস্থার সকল কর্মী ও যুবরা নিজেদের সাফল্য সকলের সাথে ভাগ করে নেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে ইকনমিক রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, সহায় ও চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনালের স্পনসরশিপ প্রোগ্ৰামে যুক্ত হয়। বর্তমানে এদের সমস্ত কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু হল স্বাস্থ্য,পুষ্টি,শিক্ষা, ক্ষমতা প্রদান ও কর্ম নিয়োগের যোগ্য রূপে গড়ে তোলা। এই লক্ষ্যকে বাস্তবে রূপায়িত করার জন্য সারা বছর ধরে চলে বিভিন্ন ট্রেনিং ও কর্মসূচি। যেমন- উল্লাস, উন্মেষ, উদ্যোগ, কান্ডারী, বদলাও, ওয়াস,ওয়াই.এস.সি, ই.আর.ডি.এস ইত্যাদি।