ঝাড়গ্রাম: বেলপাহাড়ির প্রত্যন্ত গ্রামগুলির বাসিন্দাদের হাতে শীতের কম্বল তুলে দিল ‘আর্যভ’। বেলপাহাড়ির ডোমগড়,বাসকাটিয়া, সরিষাবাসা,জোড়ডাঙ্গা, চাকাডোবা প্রভৃতি গ্রাম গুলির অবস্থান পাহাড়ের কোলে। জঙ্গল ঘেরা এই গ্রামগুলিতে শীতের প্রকোপ বেশি। বাসিন্দাদের বেশির ভাগই জঙ্গলের ডাল-পাতা সংগ্রহের পাশাপাশি দিনমজুরি করে দিন গুজরান করেন। শীতের হাত থেকে বাঁচতে একমাত্র সম্বল জঙ্গলের শুকনো কাঠ ও খড়ের আগুন।
ভোর ও সন্ধ্যেবেলা বাড়ির সামনে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারন করেন তাঁরা। আর সেই সব দুঃস্থ মানুষজনের হাতে কম্বল তুলে দেওয়ায় খুশির ছোয়া তাঁদের চোখে-মুখে। কম্বল পেয়েই গায়ে মুড়ি দিয়ে বাড়ির পথে হাঁটা দিলেন চুনি শবর, টুরকি শবর, শুকুরমনি হেমব্রম, মঙ্গল সোরেনরা। পঞ্চাশোর্ধ চুনি শবর বললেন,’বাবু হামাদের এখানে দমে শীত। কম্বলটাই গরম লাগবেক।’ বেলপাহাড়িতে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সমাজকর্মী তনুকা সেনগুপ্ত, বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা শিক্ষক বিকাশ সর্দার, শিক্ষক উত্তম বিশ্বাস, সোমনাথ দত্তরা।
কলকাতার সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ‘আর্যভ’ এর সম্পাদক চিরঞ্জীব গোস্বামী বলেন,’যাঁদের কাছে একটি কম্বলই শীতের জন্য খুবই প্রয়োজন, আমরা সেই সব দুঃস্থ মানুষজনের হাতে ১০০টি কম্বল তুলে দিলাম। আগামী দিনেও তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করব।’ বিশিষ্ট অভিনেতা তথা ‘আর্যভ’ এর সভাপতি সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন,’আমাদের সদস্যরা ঝাড়গ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছেন তাতেই আমি খুশি।’