মিজানুর সাহেবের তত্বাবধানে ব্রিগেড সমাবেশের আগেই জনসমুদ্রে ভাসল ভাঙড় এর পোলেরহাট অঞ্চল আজ তৃনমূল কংগ্রেসের ডাকে ভাঙ্গরের পোলেরহাট অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হল একটি বিশাল জনসভা। এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্যা, তাঁর পুত্র , বিশিষ্ট সমাজসেবী নান্নু হোসেন , রহিম মোল্যা সহ আরো অনেকে। এই সমাবেশের মুল উদ্দোক্তা হলেন মিজানুর আলম সাহেব। ব্রিগেড সমাবেশের আগেই জনসমুদ্রে ভাসল পোলেরহাট। ভাঙড় অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি গ্রামের আজকের সভায় এসেছিলেন। একমঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃনমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতৃবৃন্দ। এদিন মুলত ব্রিগেড সভার আগে এক প্রস্তুতি সভা হিসাবে আজকের জনসভার আয়োজন কড়া হয়েছিল। এত মানুষের সমাগম হবে তা আন্দাজ করতে পারেনি অনেকেই।
রাস্তাজুড়ে অজস্র সাধারন মানুষ আজ পথে নেমেছিল। সাথে উচ্চারিত হচ্ছিল দলের স্লোগান। এলাকায় মিজানুর সাহেবের পরিচিতি ও তাঁর কর্ম দক্ষতা আজকের সভার প্রেক্ষাপট রচনা করেছিল। শুধু তাই নয় মঞ্চে উপস্থিত রেজ্জাক মোল্যার বক্তব্য থেকে তা আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। তিনি বলেন মিজানুর আলম সাহেব যেভাবে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তা সত্যিই অতুলনীয়। পোলেরহাট সংলগ্ন আরো পাশ্ববর্তী এলাকাগুলিতে তিনি যে কাজ করেছেন, সাধারন মানুষ এর বিপদে আপদে সব সময় পাশে থেকেছেন। তাঁর এই অবদান এই আজকের জনসভায় এই হাজার হাজার মানুষকে আসতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। ভাঙড় এর আগে কবে এত মানুষের সমাগম ঘটেছিল তা মনে করা যায়না। আজ দুপুর ২.৩০ নাগাদ পোলেরহাট থেকে এলাকার নেত্রী বৃন্দকে নিয়ে প্রথমে একটি পথসভা হয়, এই সভায় পা মিলিয়েছিলেন বিশিষ্ট নেত্রিবৃন্দ সহ অজস্র সাধারন মানুষ।
রাস্তার দু ধারে ছিল কড়া নিরাপত্তা। এইদিন মঞ্চ থেকে সবার বক্তব্য থেকে শুধুই ভেসে আসে ব্রিগেড সমাবেশের আগে মুল কর্মসুচি নিয়ে নানান তথ্য। এদিন রেজ্জাক পুত্র ও রেজ্জাক মোল্যা দুজনেই উপস্থিত ছিলেন এই জনসভায়। তবে আজ পর্জন্ত ভাঙ্গরের অন্যন্য সব সমাবেশের লোকসংখ্যার সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিল আজকের এই জনসভা। বলা যেতে পারে ব্রিগেড সমাবেশের আগে পোলেরহাট অঞ্চলে তৃনমূল কংগ্রেস দল যে অনেকটাই এগিয়ে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন মঞ্চে উপবিষ্ট অন্যান্য অতিথিগন দলের নানান বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন। কিন্তু সব কিছুকে সরিয়ে রেখে আজকের এই জনসমাগম বুঝিয়ে দলে ভাঙ্গরের পোলেরহাট অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের শক্তঘাটি তা বলাই যায়।
এই দিন দলের নেতাদের মধ্যেই অনেকেই জানান যে মিজানুর আলম সাহেব বহু দিন ধরে এই দল করছেন। বহু ঘাত প্রতিঘাত উপেক্ষা করে তিনি এই অঞ্চলে সকলকে নিয়ে এই দলটি করে চলেছেন। এলাকার সব মানুষের সুখে দুঃখের সাথি তিনি। তিনি সর্বদাই সাধারন মানুষের পাশে ছিলেন আছেন ও ভবিষ্যতে থাকবেন। এছাড়া এদিনের জনসভা থেকে তিনি সাধারন মানুষের উদ্দেশ্যে জানান যে এলাকার কোন সাধারন মানুষ সমস্যার সন্মুখীন হলে সরাসরি তাকে যেন জানানো হয়। তিনি সেই সমস্যার সমাধান করবেন। পোলেরহাট অঞ্চলের সাধারন মানুষের নয়নমণি এখন তিনি তা বলাই যায়। এছাড়া তিনি সর্বদাই সমাজের নানান সেবা মুলক কাজে নিযুক্ত থাকেন। তাঁর ডাকে আজ সাড়া দিল অজস্র সাধারন জনতা। বলা যেতে পারে ভাঙ্গরের পরবর্তী যুবরাজ তিনি।