ছাই বিক্রি করে সংসার চালান আমজেদ আলি


শনিবার,০৮/১২/২০১৮
474

বাংলা এক্সপ্রেস---

বাংলা প্রবাদে “ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো” কথাটি বহুল প্রচলিত। যেখানে কুলোর গুরুত্ব পাওয়া গেলেও ছাই এর গুরুত্ব পাওয়া যায় না। কিন্তু বাস্তব সমাজে ছাই এর গুরুত্ব আছে, তার প্রমান দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বেশ কিছু পরিবার। যারা ছাই সংগ্রহ করে, রৌদ্রে শুকিয়ে, চালন দিয়ে চেলে মসৃণ ও মিহি করে প্যাকেট বানিয়ে কলকাতায় পাঠাচ্ছে। বিনিময়ে পাচ্ছে টাকা। যা দিয়ে সংসার চলছেই অনেকেই আবার মাসিক চার পাঁচ হাজার টাকা মুনাফাও করছে।

ভাঙড়ের ছেলেগোয়ালিয়া গ্রামের আমজাদ আলী, হক সাহেবরা বিশ চল্লিশ বছর ধরে এই কাজ করে আসছে। নিজেরা কাজ করার পাশাপাশি অনেকে আবার দু চার জন গৃহবধূকে কাজে নিয়োগ করিয়েছে। ফলে নিজেদের পরিবারের পাশাপাশি অন্যরাও কিছুটা হলেও উপকার পাচ্ছে এই কাজের থেকে। সময় করে পিকাপ ভ্যান নিয়ে এলাকায় বেড়িয়ে যায় আমজাদ আলী।

ভাঙড়ের মাঝেরআইট, সাতুলি, কচুয়া, লাঙলবেকী, নাটাপুকুর, পোলেরহাট, মঙ্গলপুর, জয়নগর সহ এলাকার নানান গ্রাম থেকে ছাই সংগ্রহ করে বাড়িতে আনেন। তারপর রৌদ্রে শুকিয়ে ম্যাশিনের সাহায্যে মিহি করে বস্তা ভরে গাড়িভাড়া করে কলকাতায় পাঠায়। বস্তা পিছু একশো দুশো টাকা লাভ থাকে বলে জানান আমজাদ আলী। তিনি আরো বলেন আমি এলাকায় চল্লিশ বছর ধরে এই কাজ করে আসছি। আমার দেখা দেখি এলাকায় অন্যেরাও এই কাজে আসে। কোম্পানি আমাকে ম্যাশিন দিয়েছে। সেই ম্যাশিনেই আমি প্রত্যেকদিন ছাই মিহি করি। এই কাজ করেই আমার সংসার চলছে।

এইকাজে নিযুক্ত হকসাহেব বলেন, আমি বিশ বছর ধরে এই কাজে নিযুক্ত। সংসার চলে যায়, মাসের শেষে কিছু থাকেও। আমার এখানে আর দু তিন জন কাজ করে। হকসাহেবের কাছে কাজ করে রসিদা বিবি, রুপা বিবিরা বলেন এখান থেকে দৈনিক একশো দেড়শো টাকা রোজকার করি যা সংসারের কাজে আসে। সংসারের কাজ করেই তবেই আমরা এই কাজ করি।

কলকাতার আব্দুল জব্বার এণ্ড সন্স কোম্পানিতে এই মাল সরবারাহ করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট