কলকাতা: আর্থিক সাহায্য প্রদানকারী সহায় ও চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল তাদের সহযোগী সংস্থাগুলিকে ২০১৫ সাল থেকে পুরষ্কৃত করে চলেছে কাজের উৎকর্ষতা ও সঠিক নিয়মাবলী মেনে যাবতীয় কাজ সম্পূর্ন করার নিরিখে। এই বছরসহ বিগত বছরগুলোতে ইকনমিক রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি তিনবার প্রথম স্থান দখল করে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে। গত ৬ ডিসেম্বর পুরুলিয়ায় এক অনুষ্ঠানে ওই সংস্থার পক্ষে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন ইকনমিক রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির প্রকল্প আধিকারিক শুভাশীষ গুহ এবং হিসাব রক্ষক অমিতাভ দত্ত। পুরষ্কার গ্ৰহন করে শুভাশীষ বাবু বলেন, “আজ আমাদের বড়ই আনন্দের দিন। এই পুরস্কার অনেক পরিশ্রম, ঘাম ঝরানোর ফলে এসেছে।”
এই সাফল্যের জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান সমস্ত স্পন্সর শিশু, যুব,গ্ৰামবাসী, অসংখ্য শুভানুধ্যায়ীকে। সহযোগী অন্যান্য সংস্থাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি। একই সাথে তিনি জানান, সকল সমাজকর্মীদের জন্য, যাদের কঠোর পরিশ্রম ছাড়া এই সাফল্য পাওয়া সম্ভব হত না। বিশেষভাবে তিনি সংস্থার যুবদল ও ভলেন্টিয়ারদের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, সমাজে পিছিয়ে পরা ২ বছর থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতা সর্বপরি স্বাবলম্বী ও সুনাগরিক রুপে গড়ে তোলার লক্ষে “চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল ও সহায়”-র আর্থিক সহায়তায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বোড়াল গ্ৰামে ইকনমিক রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির ১৯৯১ সাল থেকে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চাইল্ড স্পনসরশিপ পরিচালনা করে এলাকায় একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে চাইল্ড স্পনসরশিপ কর্মসূচি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় তেরোটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং কলকাতার তিনটি জায়গায় অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পরা মোট উনিশ হাজার ছেলেমেয়েদের নিয়ে কাজ করছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত বোড়ালে অবস্থিত ইকনমিক রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮২ সাল থেকে পিছিয়ে পরা গরীব মানুষদের জন্য ধারাবাহিক ভাবে কাজ করে চলেছে। সোসাইটির পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের মধ্যে “চাইল্ড স্পনসরশিপ” কর্মসূচি এক অনবদ্য ধারাবাহিক কর্মসূচি হিসাবে চালু রয়েছে। এই কর্মসূচি পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় একই পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। এই কর্মসূচিতে যুক্ত থাকা পরিবারগুলোর আর্থিক উন্নতি সাধন এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।