বহরমপুরঃ মুর্শিদাবাদের ৩টি লোকসভা কংগ্রেস একাই জিতবে বলে অগ্রিম জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। শুক্রবার দুপুরে বহরমপুর জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি একথা জানান। এদিন তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেন যে, যেখানে তৃনমূল নেত্রী জানান যে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের কোন অস্তিত্ব নেই সেখানে কংগ্রেস কোন মিটিং মিছিল করতে গেলে তাদেরকে পুলিস প্রশাসন কোন অনুমতি দিচ্ছেন না। মিটিং মিছিল সভা করতে গেলে সেগুলিকে ভণ্ডুল করার চেষ্টা হচ্ছে ভয় দেখিয়ে।
ডোমকলে সভা করার জন্য রাজ্যসরকারের একটি প্রানী সম্পদ বিকাশ ভবনকে ভাড়া করা হয়েছিল। গত কয়েকদিন আগে সেখানকার অফিসাররা জানিয়ে দেয় তারা যেন টাকা ফিরিয়ে নিয়ে যায়। তাদের পক্ষে সভা করার জন্য এই ভবন ভাড়া দেওয়া যাবে না। তাই অধীর চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন যে “আসুন না রাজনীতির লাড়াই করি আমরা, বাধা দিয়ে ভয় দেখিয়ে গনতান্ত্রিক বাতা বরনকে ধ্বংস করে দেবেন সেটা হতে পারে না” আজ না হয় কাল তার জবাব পাবেন”। এরপর তিনি হুমকির সুরে জানান যে এইভাবে চলতে থাকলে এস পি অফিসের সামনে কংগ্রেস কর্মীরা অবস্থান অনশনে বসবে।
এছাড়াও অধীর চৌধুরী আরও বলেন এখন শুরু হয়েছে হিন্দুত্বরে প্রতিযোগিতা। কে বড় হিন্দু, কেউ বলছে রথ যাত্রা করব আবার কেউ বলছে পবিত্র যাত্রা করব। এই বাংলায় ধর্মের নামে এই উৎকট প্রতিযোগিতা দেখে তিনি হতবাক হচ্ছেন বলে জানান। অধীর চৌধুরী বলেন প্রতিযোগিতা করলে ধর্ম নিয়ে না করে কাজ নিয়ে প্রতিযোগিতা করুন। কেন্দ্র কটা বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, কলেজ, করল আর রাজ্য কটা বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, কলেজ করল তার প্রতিযোগিতা করুন। তা না করে তুমি কটা রামের পুজো করছ আর আমি কটা রামের পুজো করছি সেই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে কেন্দ্র আর রাজ্যের মধ্যে। এটাই কি বাংলার রাজনীতি।
অন্যদিকে অধীর চৌধুরী বলেন চোলাই ভাটী যারা বন্ধ করে দেবেন তাদেরকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন পুর্নঃবাসন দিবেন। এই পরিপেক্ষিতে কটাক্ষকের সুরে বলেন এই বংলায় কিছু পেতে গেলে আপনাকে মরতে হবে। না মরলে কিছু পাবেন না। সবররা না খতে পেয়ে মরল তখন বললেন তাদেরকে ঘর দেওয়া হবে। চোলাই খেয়ে ১২জন মরল তখন বলছেন পর্নঃবাসন দেওয়া হবে। কেন তাদেরকে আগে কাজের ব্যাবস্থা করতে পারেননি। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করে বলেন আপনি বলছেন চোলাই বিষ তাই খেয়ে মানুষ মরছে। আর আপনি যে মদ বিক্রি করছেন সেগুলি কি মানুষকে স্বাস্থ্য দান করে? সতেজ করে? স্বাস্থ্য দান করে?
তৃনমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, তৃনমূল একটা পাটির দ্বারা পরিচালিত না হ্যে একটা গ্যাঙের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। একটা গ্যাং একটা রাজ্যকে পরিচালনা করছে সমস্যা এই জায়গাতে। তারা মনে করে বাংলায় সরকারি দল আমরা থাকব আর কেউ থাকবে না। স্বৈরাতন্ত্রের চরম নিদর্শন এই বাংলার তৃনমূল এবং তার নেত্রী মমতা ব্যানার্জী। তারা কংগ্রেস নেই মুখে বললেও অন্তরে জানে কংগ্রেস আছে। তাই কংগ্রেস যে আছে তা প্রমান করতে যাওয়ার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দাও। কারন তারা জানে কংগ্রেস আছে।
কংগ্রেস একটা আদর্শ তাকে কেউ মুছতে পারবে না। মিছিল মিটিং আটকে আমাদেরকে ঠেকানো যাবে না। অধীর চৌধুরী জোর গলায় বলেন “মুর্শিদাবাদ জেলায় যেখানে ছিলাম সেখানেই ফিরে আসব আগামী লোকসভা ভোটে, মুর্শিদাবাদ জেলায় তিন তিনটে আসন যেখানে ছিল সেখানে রেখে প্রমান করে দেব, মুর্শিদাবাদ যেখানে ছিল সেখানে আছে সেখানে থাকবে”। হিম্মত থাকলে খোলা ময়দানে নেমে পরুন রাজনৈতিক লড়াই করুন। তিনি বলেন মমতা ব্যানার্জী বিল আনুক বিধান সভায় যে সরকারি দল ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দল গুলিকে ব্যান করে দেবার বিল এনে বলুক আমি বিজেপি কে ব্যান করে দিলাম, আমি সি পি এম কে ব্যান করে দিলাম।