ঝাড়গ্রাম: ঝাড়খণ্ড আর ওড়িশার সীমান্ত ঘেঁষা এরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র ঝিল্লি পখিরালয়কে নতুনভাবে সাজিয়ে পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। টলটলে জল পরিযায়ী পাখির কলরব,জঙ্গলে ঘেরা ১৫০ বিঘা লেকের ধারে বসে সূর্যোদয় সূর্যাস্ত দেখতে পর্যটকদের অাকর্ষিত করছে। লেকের ধারে রঙ্গীন পাথর দিয়ে বাঁধানো হয়েছে বসার জায়গা। কেদ, অর্জুন, বয়ড়া, শাল, সোনাঝুরির ঘন সবুজ কার্পেটের ১৫০ বিঘা লেকের পাশ দিয়ে অপূর্ব নৈসর্গিক সৌন্দর্য ফুটে উঠে। সূর্যোদয় সূর্যাস্ত মন ভরিয়ে তোলে।
লেকের জলে নৌকা বিহারের ব্যাবস্থা অাছে। সারা বছর এই লেকে পরিযায়ী পাখীর কলরব থাকে। গোপীবল্লভপুর থেকে হাতিবাড়ি যাওয়ার পথে দহমুণ্ডা চক থেকে বাঁদিকে সাত কিলোমিটার জঙ্গল ঘেরা কাঁচা রাস্তা পেরোলেই এই পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছানো যায়। দহমুণ্ডা চক থেকে ঝিল্লি লেক পর্যন্ত সাত কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাকে পিচের রাস্তা করা হচ্ছে। পর্যটকদের জন্য ইতিমধ্যে সৌর আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে বসানো হয়েছে সাবমার্সিবল পাম্প। পর্যটকদের জন্য তৈরি হয়েছে বসার আসন। লেকের জলে নৌকাবিহারের ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে ডাবল বেড দুটি কটেজ ।রাজ্য পর্যটন দপ্তর জঙ্গল মহলের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে বিভিন্ন ভাবে সাজিয়ে তুলছেন এবং অাকর্ষনীয় করছেন পর্যটকদের কাছে। জঙ্গল মহলে পর্যটন কেন্দ্রগুলির হাল ফেরায় খুশি পর্যটন প্রেমীরা।