সদ্যোজাতর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো কোন্নগরের একটি বেসরকারী নার্সিংহোমে। মৃত শিশুর পরিজনেরা ওই নার্সিং হোম সহ অভিযুক্ত চিকিৎসকের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পাশাপাশি উত্তরপাড়া থানায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করা হয়। মৃতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, রিষড়ার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জামিলা খাতুন গর্ভাবস্থায় ন’মাস ধরে কোন্নগরের চিকিৎসক এস গোস্বামীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৮ তারিখ জামিলা খাতুমের প্রসব যন্ত্রনা ওঠায় তাঁকে এস গোস্বামীর বাড়ির চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযোগ সেদিন এস গোস্বামীর বাড়িতে কোন পরিকাঠামো না থাকলেও সেখানেই জামিলাকে রেখে দেওয়া হয়। পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার চিকিৎসকের বাড়ির পাশেই তাঁর মা সারদা নামক নার্সিং হোমে জামিলা অস্ত্রোপ্রচার করে একটি শিশুর জন্ম দেয়। জন্মানোর পরেই চিকিৎসক এস গোস্বামী জানায় শিশু জন্ডিসে আক্রান্ত তাকে কোলকাতায় নিয়ে যেতে হবে। সেইমত শিশুকে নিয়ে কোলকাতার একাধিক চিকিৎসা কেন্দ্রে ঘোরার পর তাঁকে কোলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় ওই শিশুর। শিশুর পরিবারের বক্তব্য মেডিক্যাল কলেজ শিশুর মৃত্যুর সংশাপত্রে মৃত্যুর কারন হিসাবে ইনফেকশন দেখানো হয়েছে। সেখানে জন্ডিসের কোন উল্লেখ নেই। আজ মৃত শিশুর পরিবারের লোকেরা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে নার্সিং হোম ও চিকিৎসক এস গোস্বামীর বাড়িতে ভাঙচুর করে। ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে উত্তরপাড়া থানায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করা হয়।