কলকাতা: উত্তর২৪ পরগনার জেলার সন্দেশখালিতে ১৯শে জানুয়ারী তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে এক কর্মী সভা জনসভায় পরিনত হয়। উক্ত সভায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষের সমাগম হয়। উক্ত জনসভার আয়োজন করেন বলিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ব্লক সভাপতি তথা প্রধান শেখ সাজাহান। প্রধান বক্তা ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা জেলার সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক,স্থানীয় সাংসদ ইদ্রিশ আলি, স্থানীয় বিধায়ক সুকুমার মাহাতো, জেলা পরিষদের সহ সভাপতি কৃষ্ণ গোপাল ব্যানার্জী পূর্ত কর্মধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, জেলার সাধারণ সম্পাদিকা রিঙ্কু দে দত্ত , মহিলা নেত্রী কেয়া দাশ, জিয়াউদ্দিন মোল্লা,মোসলেম মোল্লা প্রমুখ।
প্রধান বক্তার ভাষণে খাদ্যমন্ত্ৰী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন যে শেখ শাহাজানের নেতৃত্বে এত বড় জনসভা, তাই আমরা আশাবাদী জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ যাবে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। তিনি আরো বলেন মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে।আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা চান। তিনি আরো বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে কারো কোনো ছবি থাকবে না ,তাড়াতাড়ি দেওয়াল লিখন শেষ করতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় মিটিং মিছিল করতে হবে।যারা সৎ ও স্বচ্ছ চরিত্রের মানুষ কংগ্রেস ও সি পি এম এ আছেন তাদের সবাইকে দলে নিয়ে নিন। পুরানো কর্মীদের সন্মান দিন।
তিনি আরো বলেন আমারা আশাবাদী ব্রিগেডে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মানুষই বেশি যাবেন।এই সভাতে বি জে পি ও সি পি এম থেকে ৬৭ জন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাদের হাতে পতাকা তুলে দেন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক,সাংসদ ইদ্রিশ আলি,বিধায়ক সুকুমার মাহাতো ,এবং শেখ শাহাজান ।আজ সন্দেশখালি থানার জেলিয়াখালিতে রামপুর বাজার থেকে দাউদপুর,পাখিরালয় থেকে দাউদপুর দুটি রাস্তার উদ্বোধন করা হয়।উদ্বোধন করেন সাংসদ ইদ্রিশ আলি, নারায়ণ গোস্বামী, ও কৃষ্ণ গোপাল ব্যানার্জী মহাশয়।
খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলার পাঁচটি লোকসভার মধ্যে বসিরহাট লোকসভা সবচেয়ে শক্তিশালী এবং আমরা আগামী লোকসভা নির্বাচনে আমার জেলার পাঁচটি লোকসভাতে আমরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো এবং বি জে পি ধুয়ে মুছে যাবে। সাংসদ ইদ্রিশ আলি তার ভাষণে বলেন সন্দেশখালি বিধানসভায় বি জে পির জামানত জব্দ হবে। আমাদের নেত্রী ভারতবর্ষের অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে সকলেই ভোট দেবেন। স্বাগত ভাষণ দেন শেখ শাহাজান। আজকে মিনাখাতে একটি কর্মিসভা হয়। সেখানে উক্ত নেতারাও জেলার পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষ বক্তব্য রাখেন। মিনাখার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।