কলকাতা: রাজ্যের মানুষ অনাহারে মারা যাচ্ছে। তাঁদের কাছে খাবার পৌঁছাচ্ছে না। রাজ্য সরকার কোন ভ্রুক্ষেপ করছে না। অথচ অাহারে বাংলার নামে উৎসব করছে। এর প্রতিবাদে সোচ্চার বামেরা। মঙ্গলবার অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে তারা।
আহারে বাংলার অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই বাম সমর্থিত এস এফ আই এবং ডি আই এফ ওয়াইয়ের পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে রাজারহাট জোনাল কমিটির সম্পাদক শুভজিত দাশগুপ্ত এবং বাকি সমর্থকেরা নিউটাউনের মেলা প্রাঙ্গনের সামনে একটি মিছিল করে চলে আসেন। তাদের দাবি ছিল শবরা অনাহারে রাজ্যে মারা যাচ্ছে আর রাজ্য সরকারের এই আহারে বাংলার আয়োজন কার্যত মানুষকে অবহেলার মধ্যে ঠেলে দেওয়ার একটা প্রবণতা। এই বিষয়ে সুজন চক্রবর্তী এদিন দাবি করেন, “মমতার সরকারের আমলে যেখানে শবররা না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে সেখানে সরকারি কোষাগারের অর্থ ব্যায় করে উচ্চবিত্ত এবং বিত্তশালীদের জন্য এহেন খাবারের মেলা বসানো মানে কি? এটা মানুষের অর্থের অপব্যবহার করা হচ্ছে। সেই কারণে এর প্রতিবাদে মানুষই সোচ্চার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আর সেই কারণেই আমরা এদিন ওই বিক্ষোভ কর্মসূচী গ্রহণ করেছি।” তবে এদিনের ওই মিছিল করার জন্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কোনও রকম অনুমোদন নেওয়া হয়নি। বিধাননগর সিটি পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে এদিনের ওই মিছিল করার জন্য পুলিশের কাছে আগে থেকে কোনও অনুমোদন চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়নি। একেবারেই অযাচিত ভাবে এই মিছিল করে আহারে বাংলার গড়িমা নষ্ট করার উদ্যেশ্য নিয়েই এদিন মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন সিপিএমের নেতা সুজন চক্রবর্তী। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ করেই সুজনবাবু এদিন আক্রমন শাষিনে তোলেন পুলিশের দিকে। সেই কারণেই তাঁকে দ্রুত পুলিশের গাড়ি তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু গাড়ি নিয়ে নিউটাউন থানার পুলিশ এগোতে গেলেই ওই রাজনৈতিক দলের সদস্যরা গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। কিন্তু কিছুক্ষনের মধ্যেই পুলিশের একটা বড় দল সেই সমর্থকদের স্থানচ্যুত করে দিয়ে সুজনবাবুকে আটক করে নিয়ে চলে যায় পুলিশ।