হাওড়া: হাওড়া জেলার জয়পুর থানার ঝামটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মধ্য জয়পুরে জল নিকাশি খালের উপরে ৩৪ মিটার দীর্ঘ কাঠের সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়ে। বিষয়টি গ্রামবাসীরা সেচ দপ্তরের নজরে আনলে সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে সেতুটি সংস্কারের জন্য সমস্ত রকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে এই সেতুটি সংস্কারের জন্য সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, খুব শীঘ্রই সেতুটি সংস্কারের কাজ শুরু হবে। এই মুহূর্তে এই সেতুর উপর দিয়ে এলাকাবাসীকে যাতায়াত না করার জন্য সতর্কীকরণ বোর্ড ঝোলানো হয়েছে।
সেতুটি সংস্কারের জন্যে সেচ দপ্তর ১১ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে।সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩৪ মিটার ও প্রস্থ ২.২ মিটার। এই সেতুর উপর দিয়ে এলাকার তিন-চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন বলে জানা গিয়েছে। এটি পশ্চিমে ঝামটিয়া ও পূর্বে জয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সংযোগ রক্ষাকারী সেতু। যার পশ্চিম দিকে ঝামটিয়া, কলসডিহি, মহাকালীদহ সহ একাধিক গ্রাম রয়েছে এবং পূর্বে জয়পুর, উত্তর পাড়া, মধ্যপাড়া সহ বেশ কয়েকটি জনপদ আছে। ঝামটিয়ার দিকে কলসডিহি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও জয়পুরের দিকে জয়পুর পঞ্চানন রায় কলেজ ও জয়পুর ফকিরদাস ইনস্টিটিউশন নামে উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। পাশাপাশি জয়পুরে বিবি ধর গ্রামীণ হাসপাতাল, জয়পুর থানা, আমতা-২ ব্লক কার্যালয় রয়েছে। তাই এলাকার মানুষের কাছে এই সেতুটির গুরুত্ব অপরিসীম।
এই কাঠের সেতু সংস্কারের দাবীতে কিছু দিন আগে এলাকাবাসী জয়পুর বাগনান রুট কাঠের সেতুর নিকট পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।পরে পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসীকে দ্রুত সংস্কার করার আস্বাস দিলে পথ অবরোধ উঠে যায়। আমতা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল ও জেলা পরিষদের কৃষি সেচ সমবায় কর্মাধ্যক্ষ রমেশ চন্দ্র পাল এই কাঠের সেতু নতুন ভাবে তৌরীর উদ্যোগ নেওয়ায় এলাকাবাসী দুর্ভোগ পোহানোর হাত থেকে রক্ষা পেলেন।পথ চলতি জনতা সমীর দলুই ও আম্বিয়া বেগম আমাদের প্রতিনিধি কে জানান যে বহু দৌড়া দৌড়াতে এই কাঠের সেতু নতুন ভাবে তৈরীর অপেক্ষায় আছে।
কিন্তু এরই পাশ্ববর্তী এলাকা অমরাগড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘনশ্যামচক ওস্তাজী পাড়ার নিকট ভগ্ন কাঠের সেতু দিয়ে নিত্যদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হতে হচ্ছে এলাকার কৃষক ও আপামর জনসাধারণকে। কিন্তু এক কুচক্রী চক্রান্ত করছে যাতে এই পোলটি সংস্কার না হয় অপরদিকে দেখা গেল নিজের বাড়ি থেকে বাহাল তবিয়তে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে প্রভাব খাটিয়ে সেচ দপ্তরের অর্থে নিজ গৃহ থেকে ইট পাতা পথ তাগতাই কাঠের সেতু করে নিয়েছে।আবার পাকাপোক্ত কংক্রিটের সেতু বা পোল করার জন্য সেচ দপ্তরের অর্থে মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে বলে সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
এই ঘটনা সম্পর্কে এলাকার তৃণমূল নেতাদের জিগ্যেস করলে তাদের মধ্যে খোব বিক্ষোভ দেখা যায়। আবার দপ্তর কে ভুল বুঝিয়ে নিজের বাড়ি যেতে সেতু টি সংস্কার করে নেয় এই সেতু দিয়ে সারাদিনে কয়েকজন পারাপার করে অথচো কৃষক ও কৃষি সরঞ্জাম নিয়ে এমনকি গরু ছাগল কে যাতায়াত করতে দেয়না এই ছিন্নমূলী। এই পোল সংলগ্ন এলাকায় মসজিদ ও কৃষি খেত ,ঘনশ্যমচক কুলমশায়খানে তরীকতের জুমলা পীরের আস্তানা, পীরে কামেল শাহ্ শুফী হজরত মাওলানা সেখ মহম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ চিস্তী কাদেরীর ও তদীয় খলিফা মেজলা শাহজাদা পীরে কামেল শাহ্ শুফী হজরত মাওলানা সেখ মহম্মদ জহুরুল হক চিস্তী কাদেরীর মাজার শরীফ আছে বছরভোর ভক্ত বা শিষ্যরা দেশ বিদেশ থেকে আসেন। বাৎসরিক ওরশ মোবারকে অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ সেতু পাকাপোক্ত কংক্রিটের করা দুরেথাক সংস্কারে হেলদোল নেই সেচ দপ্তরের।