পশ্চিম মেদিনীপুর: কিষেণজীর মৃত্যুর পর থেকে জঙ্গলমহলে ভেঙে পড়েছিল মাওবাদীদের নেটওয়ার্ক। তারপর বছর কয়েক সব কিছু চুপচাপ থাকার পর আবার নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে মাওবাদীদের কার্যকলাপ।
গত কয়েক দিনে গোয়ালতোড়, মেদিনীপুর সদর ব্লকে একের পর এক মাওবাদী পোষ্টার উদ্ধারের ঘটনা, গোয়ালতোড় থেকে চার সন্দেহ ভাজন মাওবাদী গ্রেফতার অথবা মাওবাদী নেতা আকাশের খোলা চিঠি সবটাই কিন্তু জানান দিচ্ছে মাওবাদীদের অস্তিত্ব।
প্রথম দিকে বিষয়টি হালকা ভাবে নিলেও এবার কিন্তু সময় এসেছে কিছুটা গভীর ভাবে এই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করার। এর আগে একটা সময় জঙ্গলমহলের লালগড় হয়ে উঠেছিল মাওবাদীদের দুর্গ। একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করেছিল জনগনের কমিটি।
সেই লালগড় ও সংলগ্ন এলাকাই আবার নতুন করে মাওবাদীদের টার্গেট হয়ে উঠেছে। আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের একাধিক ইস্যুকে হাতিয়ার করে নতুন ভাবে তাঁদের সংগঠিত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে মাওবাদীরা।
রাজ্য সরকারের পাশাপাশি এই মুহূর্তে মাওবাদীদের সব থেকে বড় টার্গেট হয়ে উঠেছেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। গত কয়েকদিনে গোয়ালতোড় সহ সংলগ্ন এলাকায় যতগুলি মাওবাদী পোষ্টারের দেখা মিলেছে তার সবটাতেই শুভেন্দুবাবুর নাম উল্লেখ করে প্রচ্ছন্ন হুশিয়ারী ছুড়ে দেওয়া হয়েছে।
জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা এই পোস্টার ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিতে চেষ্টা করলেও অনেকেই কিন্তু তা পারছেন না। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, তাঁরা খতিয়ে দেখছেন কারা এর পেছনে রয়েছে। তবে এর পেছনে মাওবাদী সংগঠনের থাকার সম্ভবনা একেবারেই উড়িয়ে দিতে পারছেন না বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।