বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা চরিত্র বা “ডিটেকটিভ” বলতে সেই সব কল্পচরিত্র বোঝায় যারা রহস্যোপন্যাসে কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসাবে রহস্য উন্মোচন করে। এরা মূলত সৌখিন গোয়েন্দা, পুলিশ কর্মকর্তা বা স্পাই অর্থাৎ গুপ্তচর। বইগুলো রহস্যোপন্যাস, অপরাধকাহিনী বা স্পাই থ্রিলার। বাংলা সিনেমায় গোয়েন্দা গল্প নিয়ে নানা সিনেমা হয়েছে বহুবার। আপামর বাঙ্গালীর গোয়েন্দা চরিত্র গুলির মধ্যে অন্যতম হল ফেলুদা, ব্যোমকেশ।
এই সকল চরিত্র গুলি বারবার উঠে এসেছে বর্তমান সিনেমার প্লটে। এই সকল সিরিজ নিয়ে বর্তমান পরিচালকদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা তুঙ্গে। কখনো অরিন্দম শীল, আবার কখনো সন্দীপ রায় বারবার এই চরিত্র গুলিকে ফুটিয়ে তুলেছেন সিনেমার পর্দায়। কখনো কখনো স্রষ্টার চেয়ে তার সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র বিখ্যাত হয়ে যায়। শার্লক হোমসের কথাই ধরা যাক। এ চরিত্রটি তার স্রষ্টা আর্থার কোনান ডায়েলের চেয়েও বেশি খ্যাতিমান।
জনপ্রিয়তার দিক থেকে তুঙ্গে থাকা চরিত্রগুলোর আরও কয়েকটি হচ্ছে জেমস বন্ড, ফেলুদা, এরকুল পিয়েরো, ব্যোমকেশ ইত্যাদি।গোয়েন্দা গল্প শুনতে ও পড়তে চিরকাল ভালোবাসে বাঙালি সহ আরো সিনেমা প্রেমীরা। বাংলা চলচিত্রে এই সকল চরিত্রের নাটকীয় উপস্থাপনা বারবার নানা অভিনেতাকে এনে দিয়েছে শ্রেস্টত্বের শিরোপা। ক্রিসমাস হোক বা ফেস্টিভ মুড গোয়েন্দা চরিত্র পর্দায় এলেই ভীর জমিয়েছে সিনেমা প্রেমীরা। তাই এবার শীতে কোণ কোন গোয়েন্দা চরিত্র সিনেমার পর্দায় আসে সেটাই এখন দেখার ।