দু ‘বছর আগে বন্যায় খারাপ হওয়া তিনটি টিউবওয়েল এখনও অকেজো, চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি


শুক্রবার,১৬/১১/২০১৮
510

আক্তারুল খাঁন---

হাওড়া: হাওড়া জেলার আমতা ও উদয়নারায়ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উদয়নারায়ণপুর ও জয়পুর থানা এলাকায় গত ২০১৬ সালের ভয়াবহ বিধ্বংসী বন‍্যার পর উদয়নারায়ণপুরের একটি ও আমতার দুইটি ডিপ টিউবওয়েল বিকল হয়ে পড়ে। এরপর থেকে এলাকার কৃষক পর্যায়ক্রমে জনপ্রতিনিধি ও বিভাগীয় দপ্তরে আবেদন নিবেদন করে আসছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। একবার জনপ্রতিনিধিদের কাছে ও আবারো বিভাগের আধিকারিকদের কাছে ঘুরেই চলেছে এলাকার কৃষক চাষাবাদে স্বার্থে।

বিভাগের আধিকারিক দের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় উদয়নারায়ণপুরের ও আমতার বিধায়ক সমীর কুমার পাঁজা, অসিত বরণ মিত্র, সেই সঙ্গে হাওড়া জেলা পরিষদের কৃষি সেচ সমবায় কর্মাধ্যক্ষ রমেশ চন্দ্র পাল এলাকার কৃষকদের ও চাষাবাদের স্বার্থে বারোংবার বিভাগের আধিকারিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ইতিমধ্যে আধিকারিকরা বিভাগের কর্মীদের নিয়ে তদন্ত করে দেখেছেন যে এই তিনটি ডিপ টিউবওয়েল পুনরায় নতুন করে চালু করতে হবে।

একারণে এই তিনটি ডিপ টিউবওয়েল এলাকার কৃষক চাষাবাদে ভিষণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তা অস্বীকার করা যায় না। কারণ কৃষক সহজাত প্রবৃত্তির অনুসরণ করায় চাষাবাদ করতে গিয়ে দূর দূরান্ত থেকে কয়েকশো ফুট লম্বা লম্বা দমকলের জলডেলিভারী পাইপলাইন করে জল নিতে গিয়ে,জল ও কেরসিন, দমকলের ভাড়া বা চার্জ দিতে হিমশিম খাচ্ছেন এলাকার কৃষক পরিবার। এক ঘন্টায় দেড়শত টাকা, কেরসিন এক লিটার পঞ্চাশ টাকা,জল কর বিঘা পিছু একশত টাকা এই ভাবেই কৃষক চাষাবাদের স্বার্থে বাধ‍্য হচ্ছেন। ফলে কৃষকরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অথচো এই ডিপ টিউবওয়েল জল সরবরাহ সচল থাকলে অনেক টাই কৃষক চাষাবাদে লাভোবান হতেন।

আবার বেশ কিছু কৃষক চাষাবাদ না করে বাধ‍্যহয়ে অন‍্যকাজে দিনমজুরের কাজ করছেন ।ঘনশ‍্যামচক ও জয়পুর উত্তর ,পূর্ব, এলাকার কৃষক পরিবার সূত্রে জানা গেছে। এ সম্পর্কে আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল বলেন,ক্ষুদ্র সেচ দপ্তরে আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি নতুন করে ডিপ টিউবওয়েল তৈরি করার জন্য। আশাকরি আগামী বছর চাষের আগেই নতুন ডিপ টিউবওয়েল গুলি তৈরি হয়ে যাবে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট