মৃত শবর পরিবারগুলির খোজ নিতে লালগড়ে জেলাশাসক আয়েশা রানি


মঙ্গলবার,১৩/১১/২০১৮
522

বাংলা এক্সপ্রেস---

ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলমহলের লালগড়ে গত কয়েক দিনে সাতটি শবর পরিবারের সাত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। অথচ সেই খবর জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আসতে মাস গড়িয়ে গেল। লালগড় ব্লকের জঙ্গলখাস গ্রামে মারা গিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে যেমন আছেন ৬৩ বছরের বৃদ্ধ, তেমনই আবার রয়েছেন ২৮ বছরের যুবক। সোমবার বিষয়টি জানাজানি হতেই সাড়া পড়ে যায় সর্বত্র। আজ সকাল হতেই এলাকায় ছুটে যান ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েশা রানি। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করেন। গত কয়েকদিনে মৃত্যু হয়েছে পল্টু শবর (৩৩), লাল্টু শবর (৩৮), মঙ্গল শবর (২৮.), কিষাণ শবর (৩৪), সাবিত্রী শবর (৫১), লেবু শবর (৪৬) এবং সুধীর শবর (৬৪)-এর।

লালগড় ব্লকের লালগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ণাপানি গ্রাম সংসদের জঙ্গলখাস গ্রামে ৬০ থেকে ৭০টি পরিবার রয়েছে। অধিকাংশ পরিবারই শবর সম্প্রদায়ের। গ্রামবাসীরা জঙ্গল থেকে ডালপালা ও কাঠ সংগ্রহ করে বিক্রি করে সেই টাকায় সংসার চালান। জানা গিয়েছে, এই গ্রামে গত ৫ নভেম্বর থেকে শবর সম্প্রদায়ের মানুষের মৃত্যুমিছিল শুরু হয়েছে। মৃতদেহ তাঁরা গ্রামেই সৎকার করেন।মৃতের পরিবারের লোকজন সাহায্যের আবেদন চেয়ে লালগড়ের বিডিওর কাছে বিষয়টি জানান।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সংকল্প নিয়েছিলেন জঙ্গলমহলের মুখে হাসি ফোটাবেন। মাও সমস্যা মোকাবিলার সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে পিছিয়ে পড়া এলাকার মানুষের জীবনের মান বাড়ানো ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের পর শাসক দলের অভ্যন্তরীণ ময়না তদন্তে উঠে এসেছিল স্থানীয় নেতাদের সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি। কড়া হাতে এ সবের মোকাবিলা করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শবর সম্প্রদায়ের সাত জনের মৃত্যু অনেক প্রশ্ন তুলে দিল বলেই মনে করছেন অনেকে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট