মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে রানি মা শ্যামলী দাসকে চাইছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বিজেপির বড় অংশ


মঙ্গলবার,১৩/১১/২০১৮
1384

বাংলা এক্সপ্রেস---

কলকাতা: ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। গোটা দেশ জুড়েই রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে প্রধান প্রধান সব রাজনৈতিক দলই। ব্যাতিক্রম নয় এই বাংলাও। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যেমন ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে তেমনি বিজেপি, কংগ্রেস ও বামেরাও লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কোন কেন্দ্রে কে প্রার্থী হবেন। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে উত্তর কলকাতা বা আসানসোল কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তবে সবই জল্পনার পর্যায়ে। রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার দাবিদার কয়েকশো। বিজেপির বিভিন্ন মাপের নেতা নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী লবি ধরার চেষ্টা শুরু করেছেন যদি শিঁকে ছেড়ে।

এরই মধ্যে রানি রাসমনি পরিবারের বর্তমান বংশধর তথা রাসমনির নাতবউ শ্যামলী দাস বিজেপির সদস্যপদ নিয়েছেন। এর আগেও তিনি বেশ কয়েকবার ভোট যুদ্ধে নেমেছিলেন। রানিমা কে নিয়ে বিজেপির একটা বড় অংশের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। এখন রোজই বালিগঞ্জের রাসমনি ভবনে ভীড় জমাচ্ছেন দলের নেতা কর্মীরা। জানাচ্ছেন অভাব অভিযোগের কথা। দলের একাংশ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগড়ে দিচ্ছেন অনেকেই।

রানিমা এবারের লোকসভা ভোটে প্রার্থী হন এমন আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা কর্মীদের একটা বড় অংশ। এই নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তদবিরও করছেন তাঁরা। বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্বের নেতাদের অনেকেই চাইছেন রানিমা শ্যামলী দাস জেলার মথুরাপুর লোকসভা আসন থেকে নির্বিচনে প্রতিন্দন্দ্বীতা করুন। এই কেন্দ্রটি তফশিলী জাতির জন্য সংরক্ষিত। এলাকার ভোটারদের বড় অংশ মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের। রানি রাসমনি যেমন মৎস্যজীবীদের জন্য প্রচুর কাজ করেছিলেন তেমনি শ্যামলী দাসও মৎস্যজীবীদের পাশে রয়েছেন।

তাঁদের মধ্যে বসবাসের দলিলও বিতরন করেন তিনি। এই মৎস্যজীবী ভোটাররা শ্যামলী দাসের পাশে থাকবেন। জেলা বিজেপির পশ্চিম ভাগের সহ সভাপতি অরুন জানা বাংলা এক্সপ্রেসকে জানান, তাঁরা চাইছেন শ্যামলী দাসকে মথুরাপুরে প্রার্থী করতে। এই প্রস্তাব দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ব্যাক্তিগতভাবে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায় রানিমা কে দল ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করলে তৃণমূলের সাংসদ সিএম জাটুয়াকে তারা এবারের ভোটে পর্যদুস্ত করতে পারবেন। প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শ্যামলী দাস বলেন, মানুষ চাইলে তাঁর প্রার্থী হতে আপত্তি নেই। মানুষের পাশে দাঁড়াতেই, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার জন্যই তিনি বিজেপির সদস্য পদ নিয়েছেন। এখন দেখার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা কোন সিদ্ধান্ত নেন।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট