ঝাড়গ্রাম: পরম্পরা গত ভাবে প্রাগঐতিহাসিক যুগের স্বাক্ষ্য আজও বহন করে চলেছে বাংলা বিহার ঝাড়খন্ড প্রদেশের আপামর জনসাধারণের ইতিহাসের সাক্ষি বাঁধনা পরব। এই পরবকে ঘরেই উদবেলিত জনতার ভিড় উপচে পড়ে গাঁ গঞ্জে এলাকায়। কয়েক শতাব্দী ধরে সীমান্তভূমের রাঢ ভূমের সাধারন মানুষের কাছে এ এক চিরাচরিত প্রথা। ফি বছর প্রথা অনুযায়ী গোরুর সিং এ তেল দিয়ে, গরুর শরীরের নানা রং এর আলপনা এঁকে, পিঠে, পুলি, পায়েস সহযোগে পুজো করার রেওয়াজ অনন্তকাল ধরে চলে আসছে। এই পুজো করার রেওয়াজকে বলা হয় বাঁধনা পরব।
এই উত্সবকে ঘিরে গোটা জঙ্গলমহল জুড়ে আনন্দ উদ্দীপনার কোনও খামতি থাকে না। গোরুকে গো মাতা রুপে পুজন করা হয়। দীপাবলীর পূর্ণক্ষনে জঙ্গলমহলে। কালীপূজোর রাত থেকেই জঙ্গলমহলের গ্রামে গ্রামে ঢোল, ধমসা সহ বাদ্যযন্ত্র নিয়ে ঘরে ঘরে গোরু জাগানোর উত্সবে মেতে উঠেন এলাকার আমজনতা। কালীপূজোর পরের দিন প্রত্যেক ঘরে গো মাতাকে গোয়ালঘরে পুজিত করা হয়। এবং তারপরের দিন বিভিন্ন খেলার মাঠে গোরুরি খেলানো হয়। যার পোষাকি নাম গরু খুটান। এই উত্সবকে ঘিরে মেতে থাকন আদিবাসী ও কুর্মী, মাহাত সমাজের মানুষজনেরা। বাঁধনা পরব শব্দটা এসেছে বাঁধন থেকে যেহেতু গোরুকে বাঁধে করে খুটানো হয় তার জন্য বলা হয় বাঁধনা পরব।