ঢাকা, বাংলাদেশ : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। তফসিল ঘোষণা এবং জাতীর উদ্দেশ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার ভাষণ দিচ্ছেন। আগামী ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতার আকাঙ্খার মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীর উদ্দেশ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার দেয়া ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে একযোগে প্রচারিত করছে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৯ নভেম্বর, বাছাইয়ের তারিখ ২২ নভেম্বর ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৯ নভেম্বর।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩ দফা (৩) উপদফা (ক)-এর বরাতে এবং নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেন সিইসি।
এর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছিল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। দশম জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গত সোমবার ইসির সঙ্গে বৈঠক করে তফসিল পেছানোর দাবি করে। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, সরকারের সঙ্গে সংলাপ চলছে। এর ফলাফল দেখে তফসিল ঘোষণা করা যেতে পারে। ঐক্যফ্রন্ট বলেছে, সমঝোতার আগে তফসিল ঘোষণা করা হলে তারা নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পদযাত্রা করবে।
এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ও যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের তফসিল না পেছানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। গত বুধবার জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে আজ তফসিল ঘোষণার অনুরোধ করেন। যুক্তফ্রন্টের নেতা ও বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গত মঙ্গলবার ইসিকে চিঠি দেয়।
সিইসি তাঁর ভাষণে নির্বাচনের প্রস্তুতি ও নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ
শুক্রবার,০৯/১১/২০১৮
538
কাজী জহির উদ্দিন তিতাস---