পশ্চিম মেদিনীপুর: মাতৃ রুপে নন , কন্য রুপে পূজিতা হন মা কালী গোয়ালতোড়ের দেরিয়াপুরের নন্দী পরিবারে । আজ থেকে প্রায় দেড়শ বছর আগের কথা । ইংরাজরা ভারতবর্ষে রাজত্ব করছেন । তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট ভারতবাসী । গোয়ালতোড়ের হুমগড় ও আমলাশুলের মাঝখানে অবস্থিত দেরিয়াপুর । সেই সময়কার এলাকার বেশ বিত্তবান ছিলেন দিগম্বর নন্দী । প্রচুর জমি ও অর্থের মালিক । এককথায় জমিদার । ইংরেজদের কু নজরে পড়লেন দিগম্বর । তার সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার জন্য শুরু হল অত্যাচার । আর সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দিগম্বর নন্দী পরিবারের সকল কে নিয়ে পাথরবেড়িয়ার জঙ্গলে আশ্রয় নেন । সেখানে তাঁবু খাটিয়ে শুরু হয় দিনযাপন । সেখানে থাকতে থাকতেই দিগম্বর নন্দী একদিন জঙ্গলের মধ্যে একটি মেয়ের দেখা পান । মেয়েটি ছিলেন স্বয়ং মা কালী ।
মা কালী দিগম্বর নন্দী কে তার পুজো করতে বলেন । কিন্তু পূজো করবেন কি ভাবে ? ইংরেজদের অত্যাচারে তিনি তার পরিবারের সকলে তো জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন । অবশেষে মায়ের কৃপায় তিনি আবার ফিরে যান নিজ গ্রামে নিজ বাড়িতে । সেখানে মন্দির প্রতিষ্ঠা করে মায়ের পূজো শুরু করেন । তবে এখানে কালী কে মা রুপে পূজা করা হয় না । যেহেতু দিগম্বর নন্দী কালী কে কন্যা রুপে দেখেছিলেন তাই তিনি কন্যা রুপেই পূজা করেন । সেই ঐতিহ্য বর্তমান নন্দী পরিবারের সদস্যরা নিষ্ঠাভরেই পালন করে আসছেন । নন্দী পরিবারের এক সদস্য তারিনী মোহন নন্দী জানান চার পুরুষ আগে আমাদের পারিবারিক পূজো যে ভাবে শুরু হয়েছিল সেই ধারা আজও রয়েছে ।