অসমের গণহত্যায় অভুযুক্তদের চিহ্নিত করে কঠোর থেকে কঠোরতম সাজা দেওয়া হোক : শ্যামলী দাস


শনিবার,০৩/১১/২০১৮
806

বাংলা এক্সপ্রেস---

কলকাতা: অসমের তিনসুকিয়ায় জাতি বিদ্মেষের বলি হয়েছে নিরীহ পাঁচ বাঙালি। এই ঘটনার প্রতিবাদে গোটা দেশ তোলপাড়। এন আর সি ইস্যুতে কিছুদিন আগে অসম উত্তাল হয়েছিল। তার ঢেউ আছড়ে পড়েছিল গোটা ভারতবর্ষে। সেই ইস্যু থামতে না থামতেই আবারও নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে অসম। এন আর সি মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। রানি রাসমনির নাত বউ তথা অতীন্দ্রনাথ দাস এস্টেটের প্রধান শ্যামলী দাস সর্বোতভাবে এই মামলায় অসমের বাঙালিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর এই প্রচেষ্টায় এন আর সি মামলার রায় বাঙালিদের আশঙ্কা অনেকটাই দূর করতে পেরেছে।

যখন অনেকটাই দুশ্চিন্তা মুক্ত সেখানকার বাঙালিরা তখন তিনসুকিয়ার এই গণহত্যার ঘটনা আবার নতুন করে অসমবাসী বাঙালিদের ভীত-সন্ত্রস্ত করে তুলেছে। আর তাই চুপ থাকতে পারলেন না রানি মা শ্যামলী দাস। ঘটনার খবর পেয়েই তিনি দেশের দেশের তাবড় তাবড় রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বকে ফোন করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন এই নারকীয় হত্যাকান্ডে যারা অভিযুক্ত তাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার।

শ্যামলী দাস বলেন, অভিযুক্তদের এমন শাস্তি হওয়া উচিত যা দেখে এধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে ঘটাতে কেউ সাহস না পায়। এক্ষেত্রে রাজনীতি যেন না দেখা হয়। কোন রাজনৈতিক দলেরই এই ঘটনায় মদত দেওয়া উচিৎ নয় বলে মন্তব্য করেন শ্যামলীদেবী। অসমের ঘটনা সভ্য সমাজের লজ্জা বলে মন্তব্য তাঁর। নিহতদের পরিবারবর্গকে সমবেদনা জানিয়েছেন রানি রাসমনি পরিবারের বর্তমান এই সদস্য।

তাঁর কথায় ক্ষতিপূরণ দিলেই সরকারের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। যিনি চলে গেলেন তাঁকে তো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। তাঁর পরিবার সব হারাল। তাই এধরনের ঘটনা প্রশ্রয় পেয়ে গেলে আজ অসম তো কাল গুজরাট বিহারে ছড়িয়ে পড়বে। কড়া হাতে কেন্দ্রকে এর মোকাবিলা করতে হবে। প্রতিটি রাজ্য সরকারকেও এবং রাজনৈতিক নেতাদের দেখতে হবে এধরনের ঘটনায় কেউ যেন পার পেয়ে না যায়।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট