নেতাজীর কণ্যা অনিতা বোসকে দেওয়া হোক ভারতীয় নাগরিকত্ব, দাবি রানি রাসমনি পরিবারের


বৃহস্পতিবার,০১/১১/২০১৮
884

বাংলা এক্সপ্রেস---

কলকাতা: দেশ জুড়ে মর্যাদার সঙ্গে উদযাপন করা হয়েছে আজাদ হিন্দ ফৌজের ৭৫তম বর্ষ। দিল্লির লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বাধীনতা আন্দোলনে সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনের সংগ্রাম, তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে আলোকপাত করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৫ আগষ্টের পর একই বছরে দ্বিতীয় বার লালকেল্লায় কোন প্রধানমন্ত্রী এই প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন। সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এমন মাতামাতি আগে দেখেননি এদেশের মানুষ। স্বাভাবিক ভাবেই খুশি এরাজ্যের আপামর জনতা। নেতাজীকে নিয়ে কেন্দ্রের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রানি রাসমনি পরিবারের বর্তমান বংশধর অতীন্দ্রনাথ দাস এস্টেটের প্রধান শ্যামলী দাস।

রানিমা বাংলা এক্সপ্রেসকে জানালেন, স্বাধীনতার পর কেন্দ্রের নেহেরু সররকা নেতাজীকে নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরী করেছে। দেশবাসীকে প্রকৃত তথ্য জানতে দেওয়া হয়নি। যে সম্মান পাওয়ার কথা ছিল সেই সম্মান দেওয়া হয়নি নেতাজীকে। রাষ্ট্রদোহি তকমা দেওয়া হয়েছিল নেতাজীকে। শ্যামলী দাস আরও বলেন, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু কলকাতা পুরসভার মেয়র ছিলেন। আজাদ হিন্দ ফৌজ প্রতিষ্ঠা করে দেশের স্বাধীনতার জন্য সেনাবাহিনী গঠন করেছিলেন। নেতাজীর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজের সাহসী যোদ্ধারা ইংরেজ শক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন।

কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হয়নি আজাদ হিন্দ বাহিনীকে। “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।” বীরদীপ্ত কণ্ঠে যে আহ্বান জানিয়েছিলেন নেতাজী তা ইতিহাস। নেতাজীর স্ত্রী-কণ্যাকে সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া হয়নি। তৎকালীন কংগ্রেস সরকার অবজ্ঞা করেছে। শ্যামলী দেবী দাবি জানিয়েছেন, নেতাজী কণ্যা অনিতা বোসকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হোক। দেশে সসম্মানে নেতাজী ভবনে পিতৃস্মৃতির অধিকার দেওয়া হোক নেতাজী কণ্যাকে।

বর্তমান মোদি সরকারের কাছে তাঁর দাবি, নেতাজী কণ্যার পরিবারের কোন সদস্যের ভারতে আসার ক্ষেত্রে কোন রকম বাধা দেওয়া যেন না হয়। সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হোক নেতাজী পরিবারকে। তাঁর অভিযোগ, বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদী নীতির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকে স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসাবে যথাযথ মর্যাদা না দিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহি তকমা দেওয়া হয়েছিল। তা বাতিল করা হোক।

শ্যামলী দাস আরও বলেন, কংগ্রেস নেতাজীকে কোন দিন সম্মান দেইনি, উল্টে অপদস্থ করেছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজীর ভূমিকাকে খাঁটো করা হয়েছে। বলা হয়েছিল তাইহাকু বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজীর মৃত্যু হয়েছে। তাহলে কেন তার প্রামান্য তথ্য আজ পর্যন্ত প্রকাশ্য আনা হল না? কেন্দ্রীয় সরকার যদি মেনে নেয় ওই তথ্য সঠিক ছিল তাহলে তা জনসাধারনের সামনে প্রকাশ করুক।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট