অন্ধকার থেকে আলোর সন্ধান দিচ্ছেন টেরাকোটা শিল্পীরা


সোমবার,২৯/১০/২০১৮
481

বাংলা এক্সপ্রেস---

লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির জেরে যখন মধ্যবিত্তের হেঁসেলে চরম ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা ঠিক তখন অন্ধকার থেকে আলোর সন্ধান দিচ্ছেন প্রত্যন্ত একটি গ্রামের টেরাকোটা শিল্পীরা। শুধু তাই নয় দীপাবলীর রাতে এবার তাদের তৈরি আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ বাজিমাত করবেশহর থেকে  গ্রামের জায়গায়। আর সেই আশ্চর্য প্রদীপ তৈরী করতেই এখন ভীষণ ব্যস্ত সেই টেরাকোটা শিল্পীরা। শুনেছেন কি কোনদিনও সেই গ্রাম টির নাম কি ? হ্যাঁ সেই গ্রামটির নাম হল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের হাট পাড়ার টেরাকোটা গ্রাম।গ্রামের  নাম এখন এটাই টেরাকোটা বলে পরিচিত। কারণ একটাই এখানকার শিল্পীরা টেরাকোটার বিভিন্ন রকম মডেলের জিনিস তৈরি করতে সিদ্ধহস্ত। প্রতিবারের মতো এই আলোর উৎসব দীপাবলি কে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তাদের বাড়িতে তারা।

আর তাদের কথা ডিজিটাল আলোয় যতই আলোকিত হোক না শহর থেকে গ্রাম তাদের মাটির তৈরি সেই আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ ও তাদের চেয়ে  কম নয় সেটা এবার হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিবেন সবাই কে। তাই এখন টেরাকোটা গ্রামের শিল্পীরা সাদামাটা প্রদীপ বানানো কমিয়ে দিয়ে থিমের উপর একের পর এক প্রদীপ বানিয়ে চলছে।  তবে সাবেকি  সেই প্রদীপ যে একদম বানাচ্ছেন না  তা নয়। তবে হাতে গোনা কিছু মাত্র। তারা জানান যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তারাও যে কোন অংশে পিছিয়ে নেই সেটা এবার সাধারন মানুষদের বুঝিয়ে দিবেন তাই এবার প্রদীপ শিল্পেও  ও ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। এই টেরাকোটা গ্রামের শিল্পীরা না কোন ইন্টারনেট এর ফটো দেখে নয়একেবারে তাদের কাল্পনিক চিন্তা ভাবনা থেকেই একের পরে এক প্রদীপ তৈরি করে চলছেন।

টেরাকোটা গ্রামের শিল্পীরা আরও  জানান ভালো হাতের কাজের যথেষ্ট কদর আজও আছে সে মাটির কাজ হোক না কেন। তাই তাদের বংশ পরম্পরা আর ঐতিহ্যকে বজায় রাখতে এবার দীপাবলিতে সাধারণ মানুষদের নতুন নতুন ধরনের প্রদীপ উপহার দিবেন। তারা বলেন এক একটি প্রদীপ একেকটা থিম কেন্দ্রিক হলেও কোনোটা আবার নাম আছে। তারা বলেন তারা যেমন বাজারে সাবেকি প্রদীপ বানাচ্ছেন তেমনি পঞ্চপ্রদীপ , আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ ও তৈরি করছেন তবে এবার সবাইকে চমক দেওয়ার জন্য তারা আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ এর সাথে সাথে মা  দুর্গার উপর একটি থিম করে সেটা কেউ প্রদীপ বানিয়ে ফেলেছেন। শিল্পীরা১০০%  নিশ্চিত তাদের প্রদীপের সঙ্গে ডিজিটাল আলো এবার টক্কর দিতে পারবে না। তাই দিনরাত এক করে মাটির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে এই কাজ করে চলছে প্রতিনিয়ত। কারণ সামনে আলোর উৎসব দীপাবলি আর সেই দীপাবলিতে তাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে অন্ধকার থেকে আলোর সন্ধান দিয়ে মানুষের হাসি ফুটাতে যে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট