ইরানে সোনার কাজ দেবার নাম করে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল এজেন্টদের বিরুদ্ধে। ইরানে আটকদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭মাস আগে পান্ডুয়ার এক এজেন্ট তাদের ইরানে ৫০হাজার টাকা মাইনার সোনার কাজ দেবে বলে পান্ডুয়ার ৪জন যুবক সহ মোট ১২জনকে ইরানে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তিনি মাস ২৭ হাজার টাকা মাইনা দেন। এরপর শেষ ৪মাস ধরে তারা কোনও বেতন দিচ্ছেন না। পাশাপাশি তাদের ইরানে একটি জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পান্ডুয়ার ওই যুবকদের নাম রহিম আলি (২৭)। বাড়ি পান্ডুরার জায়ের গ্রামে। গিয়াসুদ্দিন মালিক (৩০)। বাড়ি কোটাল পুকুর। সাইফুল হাসান (২৯)। বাড়ি পান্ডুয়ায়। সাইদুল ইসলাম (২৭)। বাড়ি গুরজলা এলাকায়।
এদিন রমিহ আলির বাবা আজগর আলি সাংবাদিকদের বলেন, ৭মাস আগে পান্ডুয়া থেকে আমার ছেলেকে ৪জন সহ মোট ১২জন ইরানে সোনার কাজে গিয়েছে। ৩দিন আগে আমার ছেলে মোবাইল ফোনে আমাকে জানিয়েছে। সেখানে ওদের তিন মাস বেতন দেওয়ার পর চার মাস ধরে টাকা দেওয়া দুরের কথা। ওদের আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। পাশাপাশি ওদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওদের পাসপোর্টও নিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিন বাবা আজগর আলি বলেন, আমার আবেদন আমার ছেলে যেন তারাতারি বাড়ি ফিরে আসতে পারে সরকার তার ব্যাবস্থা করুক। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ডিএন্ডটি প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই রমক কোনও ঘটনার খবর আমাদের কাছে নেই। অভিযোগ হলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে হুগলির এমপি রত্নাদে নাগ বলেন, এই ধরনের ঘটনা আকছার ঘটছে। এতেও মানুষের সচেতনতা ফিরছে না। পরিবারটির উচিত পুলিশের মাধ্যেমে বিষয়টি রাজ্য সরকারের দৃষ্টিপাত করান। এরপর আমরা বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করতে পারব।