কলকাতা: সাঁতরাগাছি রেল স্টেশনে ফুট ব্রিজে পদপৃষ্টে দুই যাত্রীর মৃত্যু ও বহু মানুষের আহত হওয়ার ঘটনায় সোচ্চার হল সিপিআই (এমএল) লিবারেশন। দলের সর্বভারতীয় নেতা কার্তিক পাল এক প্রেস বিবৃতিতে তাঁর ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “আজকের দুজন যাএীর মৃত্যু খুবই দু:খজনক, একজন কেরলায় যাওয়া শ্রমিক বাড়ী ফিরছিল, বাড়ী মুর্শিদাবাদ এর হরিহর পাড়া, অন্যজন কোলাঘাট এর বাসিন্দা। সাঁতরাগাছি ষ্টেশন বহু পুরানো। আজ কেন,এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। মমতা ব্যানার্জী ও মুকুল রায় যখন রেল মন্ত্রী ছিলেন তখনও কেউ নজর দেয় নি। যে পরিমাণ যাএী উঠানামা করে তার মত কোন পরিষেবা ছিল না। বিজেপি রাজত্বে যারা রেলমন্ত্রী হয়েছেন তারা ভাড়া বাড়াতেই ব্যস্ত। পীযূষ গোয়েল এখন মন্ত্রী। তিনি কেবল বুলেট ট্রেন চালানো নিয়ে ব্যস্ত। কেউ মরে গেলেই ৫ লক্ষ টাকা দিয়েই খালাস। জনগনের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে তিনি প্রথম পদত্যাগ করুন। তারপর অন্য কথা। রেল পুলিশ টাকার তোলা আদায়ে ব্যস্ত।সাতরাগাছি উন্নত করতে হবে। যাত্রীদের নিয়ে সরকার মজা করে যাচ্ছে।”
এদিকে রানি রাসমনি পরিবার থেকেও এই ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন অতীন্দ্রনাথ দাস এস্টেটের প্রধান শ্যামলী দাস। তিনি বলেন, “মানুষের জীবন নিয়ে ছেলে খেলা করা হচ্ছে। সাধারন মানুষের জীবনের কোন দামই নেই। আজকে পঞ্জাবে রেল দুর্ঘটনায় মানুষ মরছে তো কাল সাঁতরাগাছিতে। আর যাঁদের মানুষের নিরাপত্তার দিক নিয়ে দেখা উচিত তারা ঘুমানোর ভান করে রয়েছেন।” রানী মা আরও বলেন, ক্ষতিপূরণ দিলেই কী সব দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়? এধরনের দুর্ঘটনা যেন আগামী দিনে না ঘটে তা নিশ্চিত করা সরকারের কাজ। আর সেই কাজটা করছে না সরকার। একই সময়ে কি ভাবে তিনটি ট্রেনের ঘোষনা হল? হাজার হাজার যাত্রী কিভাবে নির্দিষ্ট প্লাটফরমে পৌঁছবে সে কথা কেন মাথায় এল না। সম্পূর্ণ দিক নিরপেক্ষ তদন্ত করে দেখা হোক। উল্লেখ্য, পঞ্জাবে ট্রেন দুর্ঘটনার পরপরই সোচ্চার হয়েছিলেন শ্যামলী দাস। এবারও সরব হয়েছেন। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।