উমা দিলেন কৈলাসে পাড়ি, কিন্তু এখনো রয়েছে পুজোর রেশ। ঘরে ঘরে লক্ষী দেবীর আরাধনায় ব্যাস্ত সাধারন মানুষ। ‘কোজাগরী’ শব্দটির উৎপত্তি ‘কো জাগতী’ অর্থাৎ ‘কে জেগে আছ’ কথাটি থেকে। বলা হয়, ‘যার কিছু (সম্পত্তি) নেই সে পাওয়ার আশায় জাগে, আর ‘যার আছে সম্পত্তি যে না হারানোর আশায় জাগে’। আর সারারাত জেগে লক্ষ্মীর আরাধনা করাই এই পুজোর বিশেষ আচার। কথিত আছে কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন দেবী রাত্রে খোঁজ নেন – কে জেগে আছেন ? যে জেগে অক্ষক্রীড়া করে , লক্ষ্মী তাঁকে ধন সম্পদ দান করেন । অন্যান্য পূজা আর কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আলপনাতে বেশ কিছু পার্থক্য থাকে। এই পুজোতে মূল আলপনার সঙ্গে বাড়ি জুড়ে আঁকা হয় ধানের ছড়া, মুদ্রা, আর মা লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের ছবি। এই প্রতীকগুলি পূজার মহত্ত্ব যেমন ব্যাখ্যা করে, তেমনই পুজোর আচারের একটা অংশ হয়ে উঠেছে এই বিশেষ ধরণের আলপনা।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর ভোগে অনেক বাড়িতেই জোড়া ইলিশ রাখা হয়। তবে ভোগ হিসাবে খিচুড়ি, লাবড়া থাকা আবশ্যিক। সঙ্গে প্রসাদে ফলমূল তো থাকেই , থাকে নারকেলের নাড়ু, তিলের নাড়ু, ভুশের নাড়ু। এছাড়াও লুচি, পায়েস, মিষ্টির নানা আয়োজন থাকে মা লক্ষ্মীর জন্য। রাত পোহালেই লক্ষী পূজা , দেবীর আরাধনা জগত জুড়ে। শুধু তাই নয় কলকাতা সহ জেলায় জেলায় ও গ্রাম বাংলায় এই পূজার প্রচলন আছে। প্রায় প্রতি ঘরে ঘরেই দেবী লক্ষ্মীর পুজো হয়ে থাকে। তাই গানের সুরে —-“শঙ্খ বাজিয়ে মাকে ঘরে এনেছি সুগন্ধে ধূপ জ্বেলে আসন পেতেছি। প্রদীপ জ্বেলে নিলাম তোমায় বরণ করে আমার এ ঘরে থেকো আলো করে। এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে আমার এ ঘরে থেকো আলো করে,।।