লক্ষী পুজোর দিন লক্ষী পূজীত হয় না 


মঙ্গলবার,২৩/১০/২০১৮
653

পিয়া গুপ্তা ---

কালিয়াগঞ্জ: বাঙালীদের বারো মাসে তেরো পাবন। আর তেরো পাবনের একটি পার্বন কোজাগরি লক্ষী পুজো। আর পাঁচজন বাঙালীরা যখন কোজাগরি লক্ষী পুজোর দিন বাড়িতে বাড়িতে লক্ষীপুজো করে ঠিক তখন এক মাত্র ব্যাত্রিক্রম উত্তর দিনাজপুর জেলায় কালিয়াগঞ্জ পূর্ব ভাণ্ডার গ্রামে । লক্ষী পুজোর দিন এই গ্রামে কোজাগরী পূজীত হয় না। তেমনি লক্ষীপূজোর আগে দশমির পড়ের দিন থেকে গ্রমের কোন বাড়িতে আমিশ রান্না হয় না গ্রামের সকলে লক্ষী পুজো করতে ব্যাস্ত থাকে। গ্রামের বাসিন্দারা জানান আজ থেকে ১৯ বছর আগে গ্রামে লক্ষী পূজো কে কেন্দ্র করে বাউল উৎসব চলছিল সেই সময় এই গ্রামের বাসিন্দা নরেশ চন্দ্র বর্মন জমিতে যখন মাঠে চাষ করছিলেন তখন লাঙলের ফালে এই লক্ষী নারায়নের কষ্টি পাথরের মূর্তিটি উদ্ধার হয় এরপড় সেই মূর্তিকে গ্রামের বাসিন্দারা গ্রামের মধ্যে মন্দির বানিয়ে লক্ষী পুজো করে। আর সেই থেকেই প্রতিবছর লক্ষী পূজো করে আসছে।

সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য ঘটনা হলো এই গ্রামের কোন বাড়িতে লক্ষী পূজো করেন না বাড়ির মহিলারা। তার বদলে মাঠ থেকে উঠে কষ্টিপাথরের মূর্তিতেই মন্দিরে পূজো দেন গ্রামের কয়েক হাজার মহিলারা। গ্রাম বাসিরারা জানান, বিভিন্ন জায়গায় যখন সাধারন মানুষেরা দূর্গাপুজোয় আনন্দে মেতে উঠেন। ঠিক তখনি এই গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দূর্গাপূজোর মতোই এই লক্ষী পূজোর দিন মেতে উঠে । পূজোর দিন বহু মানুষ আসেন দূর দুরান্ত থেকে পুজো দিতে এবং পুজো দেখতে। পূজো উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গনে বসে মেলা এবং পুরোন প্রথাকে মেনে চলে দুই দিন ব্যাপি বাউল গানের উৎসব । জেলার পরাতত্ত বিদ বিন্দাবন চন্দ্র ঘোষ জানান,, জেলার মধ্যে একমাত্র কালিয়াগঞ্জ ব্লকের পুর্বভাণ্ডার গ্রামের মানুষ পাল যুগের একটি কষ্টি পাথরের মূতিকে লক্ষী নারায়ন রুপে পূজো করে আসছে গ্রমের মানুষরা। আর এটা কে কেন্দ্র করে সমগ্র গ্রামের মানুষ আনন্দে মেতে উঠে লক্ষীপুজোর দিনে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট