কালিয়াগঞ্জ: চারিদিকে যখন খুশির আনন্দে মাতোয়ারা সকলে তখনি ভয়াবহ কান্নার সুরে ভেসে উঠলো কিছু পরিবার। দেবীর আগমনে যখন খুশির বাধ ভাঙলো সকলের মনে তখনি নিজেদের সন্তান চলে যাওয়ার দুঃখে শোক নেমে এলো পরিবারের।শারদীয়া উৎসবের শেস মুহূর্তে এসে কালিয়াগঞ্জের চার তরুণ তরুণী নবমীর দুর্গাপূজার উৎসবের আনন্দে গা ভাসাতে গিয়ে বালুরঘাট ও হিলির পূজা দেখে ভোর রাতে কালিয়াগঞ্জে ফিরে আসবার পথে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাউলে ৫১২নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি থ্রেসারকে ধাক্কা মেরে সজোরে একটি পার্শবর্তী গোডাউনে গিয়ে ধাক্কা মারে।এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই সঞ্জীব সাহা(২৭)নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়।
গাড়িতে থাকা অপর তিন জনের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় মালদা মেডিকেল হাসপাতালে প্ৰথম অবস্থায় ভর্তি করা হলেও সেখান থেকে ঋতু সাহা নামে এক গর্ভবতী মহিলাকে শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করাহয়।অপরদিকে গাড়ীর চালক তথা মালিক সুদীপ্ত বসাককে মালদা মেডিক্যাল কলেজ থেকে কোলকাতার একটি নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয় বলে জানা যায়।দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ৩ ব্যক্তি ব্যক্তি যথাক্রমে অভিজিৎ সাহা(২৭)ঋতু সাহা(২৪)ও সুদীপ্ত বসাক(২৭),বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছে বলেহানা যায়।মৃত সঞ্জীব সাহার মামাতো ভাই শনিবার সঞ্জীবের বাড়ীতে এই প্রতিবেদককে বলেন তার ভাইয়ের মৃত্যুর একমাত্র কারণ গাড়ীর চালক সুদীপ্ত বসাকের অসতর্ক ভাবে গাড়ী চালানো।সারারাত পুজা দেখার পর যদি সতর্কভাবে গাড়ী চালাতো তাহলে এই দুর্ঘটনাকে এড়ানো যেত।
রেস্ট না নিয়ে একনাগাড়ে গাড়ী চালানোর ফলেই এই দুর্ঘটনাকে ডেকে আনা হয়েছে বলেই তিনি মনে করেন।মৃত সঞ্জীবের বাবা স্বপন সাহা বলেন তার একমাত্র ছেলে পুজার আনন্দ করতে গিয়ে এভাবে চলে যাবে তা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিনা।কি করে ২৭বছরের ছেলের শোক ভুলে থাকবো তা ভাবতেই পারছিনা।দশমীর দিন সন্ধ্যায় মৃত সঞ্জীবের মৃতদেহ দাহ করা হয় শ্রীমতী শ্মশান ঘাটে যেখানে তার পাশেই চলছিল প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা।এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় কালিয়াগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে আসে।