কলকাতা: রানি রাসমনি বাড়ির দুর্গা পুজো আড়াইশো বছরে পা দিল। বর্তমানে রানি রাসমনির নাত বউ তথা অতীন্দ্রনাথ দাস এস্টেটের প্রধান শ্যামলী দাস পুজোর আয়োজন করছেন বালিগঞ্জে রাসমনি ভবনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্যামলী দাসকে শারদ শুভেচ্ছা পাঠালেন। ওই শুভেচ্ছা পত্রে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “উমা মায়ের চরণস্পর্শে বসুন্ধরা ধনধান্যে ভরে উঠুক, আরও সমৃদ্ধি আসুক, সৌভাগ্য ও সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে যাক প্রতিটি ঘরে – এই শুভ কামনা রইল।
আপনাদের শারদোৎসবের আয়োজন সফল হোক। পুজো খুব ভাল কাটুক। সবাই খুব ভাল থাকুন। সকলকে জানাই শারদীয়ার প্রীতি, ভালোবাসা ও শিউলি শুভেচ্ছা। ”
রাসমনি ভবনে আয়োজিত এবারের দুর্গোৎসবে ষষ্ঠীর দিন থেকেই সাধারণ দর্শনার্থীদের ভিড় সমাগম ঘটছে। সপ্তমী থেকে মায়ের ভোগ রান্না হচ্ছে। যাঁরা প্রতিমা দর্শনে আসছেন কেউই খালি মুখে ফিরছেন না। প্রথম এই দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল জানবাজারে রানি রাসমনি ভবনে। পরবর্তীতে পুজো পাকাপাকি ভাবে চলে আছে রাসমনি ভবনে। প্রথম থেকেই পুজোয় রাসমনা আসতেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা। ভারতের প্রথম গভর্নর রাজা গোপালাচারি একবার পুজোয় হাজির হয়েছিল। এবছরও বিশিষ্টজনেদের ও দেশের বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের আমন্ত্রণ জানানো হয় রাসমনি ভবনের দুর্গোৎসবে হাজির হওয়ার জন্য। আমন্ত্রিতের তালিকায় বাদ পড়েননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর শারদ শুভেচ্ছায় আরও লিখেছেন, ” সবার প্রাণে আজ খুশির তুফান, স্ফূর্তির বাঁধন ভাঙা উচ্ছ্বাস। উৎসবের অঙ্গনে আমরা সবাই এক মন, এক প্রাণ। এখানে ধনী-দরিদ্র, জাতি-ধর্ম-বর্ণের কোন ভেদাভেদ নেই।” উল্লখ্য, শ্যামলী দাসও আগেই বলেছিলেন, ধনী-দরিদ্র, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলে উৎসবে সামিল হতে হবে। ভেদাভেদ ভুলে মানুষের উন্নয়নে সামিল হতে হবে।