ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার ২১ দিনের মাথায় আজ দিল্লী থেকে ডিআইজি ছায়া শর্মার নেতৃত্বে জাতীয় মনবাধিকার কমিশনের পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল তদন্তে এলেন ইসলামপুরের দাড়িভিট গ্রামে। মানবাধিকার কমিশনের ওই প্রতিনিধিদল মৃত দুই ছাত্র রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের পরিবারের সাথে দেখা করে তাদের সাথে কথা বলেন। কথা বলেন দাড়িভিট গ্রামের মানুষদের সাথেও। তবে তদন্তের স্বার্থে মুখ খুলতে নারাজ মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই প্রতিনিধি দল দাড়িভিট এলাকায় তদন্তের কাজ চালাবেন।
২০ সেপ্টেম্বর উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের দাড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়ে পুলিশ ছাত্র সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিদ্যালয়ের দুই প্রাক্তন ছাত্র রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের। এই ঘটনায় তোলপাড় হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। রাজ্য সরকার ঘটনার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেও মৃত ছাত্রদের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে আন্দোলনের মাধ্যমে আজও বন্ধ করে রেখেছেন দাড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়। মৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্তের জন্য আবেদন করা হয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেও। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই আজ দিল্লী থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে দাড়িভিট গ্রামে আসেন।
দাড়িভিটে এসে প্রথমেই তারা দেখা করেন মৃত ছাত্রদের পরিবারের সাথে। তাদের সাথে কথা বলার পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা ও দাড়িভিট বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সাথেও কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিআইজি ছায়া শর্মার নেতৃত্বে থাকা পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। মৃত ছাত্র তাপস বর্মনের মা মঞ্জু বর্মন জানালেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কর্তারা আমাদের কে কিছুই কাছে জানতে চাই নি এলাকার ছাত্র ছাত্রীদের কছে যিগাসা করে ছে । এলাকার বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। তবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিআইজি ছায়া শর্মা এব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি।