ঝাড়গ্রাম:– দক্ষিণবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকায় তিতলির দাপটে ভেঙ্গে পড়ল শতাধিক মাটির বাড়ী। রাস্তার গাছ পড়ে ব্যাহত যান চলাচল, বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে, তার ছিঁড়ে বিদ্যুতের পরিষেবা একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বুধবার রাত থেকে এরাজ্যেও ঢুকে পড়েছিল তিতলি। বৃহস্পতিবার থেকে একটু একটু করে তার তান্ডবলিলা শুরু করে। শুক্রবার দুপুরেরপর তিতলির তান্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় ঝাড়্গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম, সাঁকরাইল ও ঝাড়গ্রাম ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম। তিতলির প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়l বৃহস্পতিবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ে ঝাড়গ্রাম জেলায় পৌঁছাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাঁকরাইল, লোধাশুলি ও শালবনী এলাকার মানুষজনেরাl অবিশ্রান্ত বর্ষণ ও দমকা ঝড়ো হাওয়ায় সাঁকরাইল ব্লকের রোহিণী বাজারে ভেঙে পড়েছে পূজামণ্ডপ।
মনপুরা, নোয়াগা, গজাশুমুল, ঠাকুরথান, কালোসোনা ও তাতিয়া গ্রামে বেশ কয়েকটি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে, ভেঙেছে প্রচুর গাছ। রাস্তায় গাছ পড়ে অবরুদ্ধ হয়েছে যানচলাচলl ঝাড়্গ্রাম ব্লকের শালবনি এলাকায় ঘরবাড়ির ছাউনি উড়িয়ে নিয়ে যায় ঘূর্ণিঝড়l রাস্তার মাঝে গাছ পড়ে অবরুদ্ধ হয়েছে ৫ নম্বর রাজ্য সড়কl এর ফলে ঝাড়গাম লোধাশুলি নয়াগ্রাম গোপীবল্লভপুর ও সাঁকরাইল ব্লকের সঙ্গে ঝাড়গাম এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ঝাড়গ্রামের জেলা প্রশাসন জেসিবি দিয়ে রাজ্য সড়ক থেকে গাছ সরানোর চেষ্টা চালাচ্ছেl অসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তরের কর্মীরা রাস্তা পরিষ্কার করার শুরু করেছে। এবিষয়ে ঝাড়্গ্রামের জেলা শাসক আয়েশা রানী বলেন, “তিতলির প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সাঁকরাইল ব্লকে।